ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেভাবে মিষ্টি খেলে বাড়বে না মেদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন? অথচ ওজন বেড়ে যাবে এই ভেবে ভয় পান? আপনার মতো অনেকে এই একই সংশয়ে দিন কাটান। তবে ভয় নেই, মিষ্টি খাওয়ার কিছু নিয়ম জানলে, দিনে এক-দুটো মিষ্টিতে বাড়বে না মেদ। থাকবে না ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও।

আসলে আমরা কী ভাবে আর কখন মিষ্টি খাচ্ছি, তার উপরেই নির্ভর করে শরীরের মেদ। অন্তত এমনটাই মত দিয়েছেন ভারতের পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের।

তিনি জানান, ‘ডায়াবিটিসের ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসকরা তাদের মিষ্টি খেতে নিষেধ করেন। আবার কেউ কেউ দিনে একটি মিষ্টি খাওয়ার অনুমতিও পান। এটা নির্ভর করে তার শরীরের উপর। কিন্তু সুস্থ মানুষ ওজন বৃদ্ধি বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে একেবারে মিষ্টি ছাড়া ঠিক নয়। কিছু নিয়ম অনুসরণ করে মিষ্টি খেলে এ ঝুকি কমে যাবে।

আসুন জেনে নেওয়া মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সুমেধা সিংহের পরামর্শ-

*মিষ্টি মানেই ডেজার্ট— এ ধারণা বদলে ফেলুন। বরং ভরা পেটে মিষ্টি খেলেই ওজন বাড়বে। তার চেয়ে মিষ্টি খান সকালের চা বা কফির সঙ্গে, ‘স্ন্যাক্স’ হিসাবে। এই সময় রক্তে শর্করার পরিমাপ নীচের দিকে থাকে। তখন মিষ্টি খেলে কোনও ভাবেই তা মেদ হিসাবে জমা হয় না শরীরে। বরং রক্তে শর্করার মান বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করে।

*তবে একসঙ্গে অনেক মিষ্টি একেবারেই খাবেন না। চা বা কফির সঙ্গে মিষ্টি খেলেও তা খেতে হবে পরিমিত, একটি বা দু’টির বেশি নয়। মিহিদানা, ক্ষীর বা সীতাভোগের মতো মিষ্টি খেলে এক মুঠোর বেশি খাবেন না।

​*যখন মিষ্টি খাচ্ছেন, তখন কেবল মিষ্টিই খান। সঙ্গে অনেকটা খাবার খেয়ে ফেলবেন না। এতে মিষ্টি অতিরিক্ত মেদ হিসাবে শরীরে জমা হবে। তাই দু’টো ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে পেট খালি থাকলে তখন একটা মিষ্টি খান।

*অনেকেই রাতে শেষপাতে একটা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন৷ এটা একেবারেই ভুল৷ এ ভাবে মিষ্টি খাবেন না। এই সময় আমাদের বিপাকক্রিয়া খুব ধীর গতিতে হয়৷ তাই মিষ্টিতে থাকা চিনি খুব সহজে শরীরে মেদ হিসাবে জমে।

*নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলে মিষ্টি খান শরীর চর্চার পর। এই সময় আমাদের শরীরে শক্রির প্রয়োজন হয়। মিষ্টির ভিতরে থাকা চিনি সেই শক্তির জোগান দেবে। আবার কায়িক পরিশ্রম হওয়ার ফলে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার এই সময় কম থাকে। তাই মিষ্টি খেলে তা মেদ হিসাবে জমা হয় না।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার

এমএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি