ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যেসব কারণে রোজা নষ্ট হবে না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ১ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩৭, ১ জুন ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বছরের ১১ মাস একরকম জীবনযাপনের পর রমজান মাসে অনেকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।  বিশেষ কিছু বিষয় ঘটে যায়, যার ফলে রোজা হলো কি হলো না, তা নিয়ে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যেতে হয়। আর আল্লাহর নির্দেশ পালনের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য-পানীয় ও যৌনতা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকার নাম হলো সাওম বা রোজা। অতএব, কেউ যদি সজ্ঞানে খাদ্য গ্রহণ, পানি পান বা স্ত্রী সহবাসের কাজ করেন তাহলে তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কোনো কোনো প্রাসঙ্গিক কারণে বিশেষ কিছু ঘটলেও তাতে রোজা নষ্ট হবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষ কিছু বিষয়।

খাদ্য-পানীয় সম্বন্ধীয়
কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে খেয়ে নেয়। খাওয়া শেষ হয়ে গেলে অথবা খেতে খেতে মনে হয় যে, আমি তো রোজা আছি। অথবা কেউ যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে পেটপুরে খেয়ে নেয় অথবা কারো যদি গোসল বা অযু করার সময় অসতর্ক অবস্থায় গলার ভেতরে পানি চলে যায় অথবা কেউ নাকের শ্লেষা জোরে টান দেওয়ার কারণে গলার ভেতরে চল যায়, তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। কাজা বা কাফ্ফারা কিছুই করতে হবে না। খাওয়া অবস্থায় রোজার কথা স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তবে যদি কেউ কোনো রোজাদারকে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয় বা গলার মধ্যে পানি ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। রোজা কাজা করতে হবে, কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। অনিচ্ছায় কারো বমি হলে রোজা ভাঙবে না।

যৌনতাবিষয়ক
রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় শোয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। রোজা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর শরীর পরস্পর স্পর্শ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। অনিচ্ছায় কোনো গাইরে মুহাররম নারীর স্পর্শ লাগলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে পবিত্র হতে হবে।

অন্যান্য প্রসঙ্গ 
রোজা অবস্থায় কারো স্বপ্নদোষ হলে অথবা রাতে গোসল ফরজ হওয়ার পর গোসল না করা অবস্থায় সূর্য উঠে গেলে রোজা নষ্ট হয় না। এমতাবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে নিতে হবে। রোজা রেখে নখ, চুল, দাড়ি কাটলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। ডায়াবেটিকের রোগী ইফতারের আগে ইনসুলিন নিলে রোজা নষ্ট হবে না।

শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। এমন আরো অনেক কারণ থাকতে পারে, যে জন্য রোজদারের সন্দেহ হতে পারে, তার রোজার কোনো ক্ষতি হলো কি না বা রোজা নষ্ট হয়ে গেল কি না? নিছক সন্দেহের কারণে রোজা ছেড়ে না দিয়ে কোনো বিজ্ঞ আলিমের কাছে মাসআলা জেনে নিতে হবে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি