যে আট কারণে জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাবেন
প্রকাশিত : ১২:০০, ৫ মে ২০১৮
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস জলে এক বা দু চামচ মধু মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে চিন্তাই থাকে না। কারণ এমনটা করলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় বলে জানা গেছে। তবে এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত এই পানীয়টি খেলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন-
১.হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক গ্লাস জলে অল্প পরিমাণে মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে, তেমনি আর্টারির ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের এতো মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
২. সর্দির প্রকোপ কমে:
হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার কারণে গলায় ব্যথা। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশিকে ভুগছেন নাকি? ফিকার নট! এক গ্লাস গরম জলে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। প্রসঙ্গত, বুকে সর্দি জমে থাকার মতো সমস্যা কমাতেও মধু এবং জলের কোনও হিকল্প হয় না বললেই চলে।
৩. বদ-হজমের সমস্যা দূর হয়:
প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হোস্টেলের খাবার মুখে তুলতে না পেরে যদি রাস্তার দোকানের খাবার খেয়ে আপনাকে ক্ষিদে মেটাতে হয়ে, তাহলে আজ থেকেই জল এবং মধুকে সঙ্গী বানান।
৪.শরীরে থেকে সব বিষ বেরিয়ে যায়:
খাবারের সঙ্গে তো বটেই, আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে এবং রক্তে প্রতিনিয়ত মিশে চলেছে। এই সব টক্সিক উপাদানগুলিকে যদি শরীর থেকে বার না করা যায়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! আর এক্ষেত্রে আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে জল এবং মধু। কিভাব? এই পানীয়টি খাওয়ার পর পরই প্রস্রাবের হার বেড়ে যাবে। ফলে কিডনি, প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারবে। ফলে কমবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
৫. ওজন হ্রাস পায়:
সরকারি এবং বেসরকারি পরিসংখ্যানের দিকে নজর ফেরালে বুঝে যাবেন অতিরিক্ত ওজনের কারণে কীভাবে নানাবিধ মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এদেশে। তাই তো বন্ধু, আপনার অজন যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে গরম জলে কয়েক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে ভুলবেন না যেন! আসলে এমনটা করলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়, ফলে অতিরিক্তি মেদ ঝরে যেতে সময় লাগে না।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
সুস্থ থাকতে দেহের ইমিউন সিস্টেমকে চাঙ্গা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন মধু এবং গরম জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন রোগের ভোগান্তি আর পোয়াতে হবে না। আসলে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের অন্দরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বাঁচতে দেয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে অন্যান্য ক্ষতিকর জীবনুও শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৭. অ্যালার্জির প্রকোপ কমে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক গ্লাস গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেরানো পলেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলি সেভাবে আমাদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালার্জির প্রভাব কমতে শুরু করে।
৮. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:
সারাক্ষণই কি ক্লান্ত লাগে? তাহলে বন্ধু জল-মধুর যুগোলবন্দীকে কাজে লাগাতে বুলবেন না যেন! কারণ এই পানীয়টি একদিকে যেমন দেহের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে, তেমনি অন্যদিকে মধু, দেহে কার্বোহাইড্রেটের যোগান ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কলেজ বা অফিস যাওয়ার আগে ল্যাথারজিক লাগলে কী করতে হবে, তা নিশ্চয় জেনে গেলে বন্ধুরা
তথ্যসূত্র: বোল্ড স্কাই।
এসএইচ/