যে দেশে কনডম মাছও ধরে, চুলও বাঁধে
প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একটি জনপ্রিয় হিন্দি কমেডি ছবিতে দেখানো হয়েছিল, বার্থ ডে পার্টিতে বেলুনের বদলে উড়ছে কনডম। সেটা নিছক হাস্যরসের কারণ হলেও, বাস্তবেই এমন এক দেশ রয়েছে যেখানে বেলুনের বদলে ওড়ানো হয় কনডম। শুধু তাই নয়, মাছ ধরতে কাজে লাগে কনডম, এমনকী চুলও বাঁধা হয় কনডম দিয়ে। গল্পটা শুনতে মজার বটে! তবে কঠিন সমস্যার মুখে পড়ে কনডমকেই কার্যত নিত্যদিনের ব্যবহারের জিনিসে পরিণত করেছে সেই দেশ।
সাদা বালির সমুদ্র সৈকত আর তামাকের খেতে ভরা দ্বীপ রাষ্ট্র কিউবা কমিউনিস্টের অধীনে। আমেরিকার বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে কিউবার বাজার প্রায়ই শূন্য থাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা ধরনের জিনিস সেখানে সহজলভ্য নয়। আর যদিও বা কিছু জিনিস আসে, সেগুলোও চযা দামে বিকিয়ে যায় ব্ল্যাক মার্কেটে। তাই সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে সে সব হাতের নাগালে পাওয়া বেশ মুশকিল। বেশির ভাগ মানুষেরই মাসিক আয় ৩০ ডলারের নিচে।
তবে কনডম এখানে বেশ সহজলভ্য। কিউবাতেও তৈরি হয় কনডম। পাশাপাশি এশিয়া থেকে রফতানি হওয়া কনডমও বেশ সস্তায় মেলে সে দেশে। সেক্সুয়াল হেল্থের কথা মাথায় রেখে কিউবার সরকার সাবসিডিও দেয়। সেখানে তিন প্যাকেট কনডম পেলে মাত্র ২ ডলার সেন্টেইল। তাই জিনিসপত্রের অভাবে কনডমকেই নিত্যসঙ্গী বানিয়ে ফেলেছে কিউবার মানুষ।
বিউটি পার্লারগুলোতে কনডম দিয়েই বাঁধা হয় চুল। গার্ডার পাওয়া যায় না। কী করা যাবে! তাই এই উপায়। এমনকি মাছ ধরতেও কাজে লাগানো হয় এই কনডম। কিউবার হাভানায় কনডমকে বেলুনের মত ফুলিয়ে তাতে মাছ ধরার বিশেষ হুক লাগিয়ে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাদ যায় না বার্থ ডে পার্টিও। বেলুনের মত ফুলিয়ে কন্ডোমেই সাজানো হয় পার্টি।
তবে এই সব ব্যবহারের মধ্যে সব থেকে বেশি উদ্ভাবনী হল, ওয়াইন তৈরি। আঙুরের রস থেকে এ দেশে তৈরি হয় ওয়াইন। সংরক্ষণ করার সময় সেই রস ঢেকে রাখা হয় কন্ডোমে। সেই রস যখন গাঁজিয়ে যায়, তখন যে গ্যাস তৈরি হয় তাতে কনডম তথা রবারের থলিকে ফাঁপিয়ে দেয়, ফলে একেবারে বোতলের মত আকার নেয়। আর তখনই পুরো প্রসেস সম্পূর্ণ হয়।
এভাবেই কনডমে ভরসা করে দিন চালাচ্ছেন কিউবার মানুষ।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭
একে//