ইস্টার আইল্যান্ড
যে দ্বীপের রহস্য এখনও ভেদ হয়নি
প্রকাশিত : ১১:২৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
১৭২২ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল। নেদারল্যান্ডের নৌ সেনাপতি জ্যাকব রজারভিন আবিষ্কার করেন জনবিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। ওইদিন ছিল ইস্টার সানডে। যার কারণে তিনি দ্বীপটির নাম দেন ইস্টার আইল্যান্ড। এটি চিলিতে অবস্থিত। এতোদিনেও দ্বীপটির রহস্য ভেদ হয়নি।
স্থানীয়রা দ্বীপটিকে বলে ‘টিপিটোওটি হিনুয়া’, যার মানে দাঁড়ায় পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল। দ্বীপটি ত্রিকোণ আকৃতির আগ্নেয় শিলা দিয়ে তৈরি। আয়তন লম্বায় ২৮.৬ কিলোমিটার, চওড়ায় ১২.৩ কিলোমিটার।
জ্যাকব রজারভিন দ্বীপটিতে নেমে অবাক হয়ে যান ছড়ানো-ছিটানো শত শত মূর্তি দেখে। তার ধারণা ছিল সামুদ্রিক ঝিনুকের খোলের চুর্ণের সঙ্গে বিশেষ এক ধরনের কাদার প্রলেপ দিয়ে মূর্তিগুলো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। সব মূর্তিগুলোই নিরেট কালো আর লালচে পাথরে খোদাই করে তৈরি করা। বিভিন্ন আকৃতির মূর্তিগুলোর উচ্চতা ৩ থেকে ৩০ ফুট। এক একটা মূর্তির ওজন কয়েক টন।
গবেষণা থেকে জানা যায়, দ্বীপটিতে আদিবাসীদের বসবাস থাকলেও তাদের দ্বারা ওই মূর্তি বানানো সম্ভব ছিল না। আর ইস্টার আইল্যান্ডের মূর্তিগুলোর উপাদান এবং গঠন শিল্পের সঙ্গে মিসরের পিরামিডের মিল রয়েছে। প্রায় ৭ হাজার বছর আগের পিরামিডের সঙ্গে মূর্তিগুলোর মিল সত্যি অবাক করে। ঐতিহ্যের জন্য ইউনেস্কো দ্বীপটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে ।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
/ এআর /