ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

যে হোটেল গ্রীষ্মে পানিতে ভাসবে শীতে বরফে জমবে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১০:৫১, ২২ এপ্রিল ২০১৮

সুইডেনে তৈরি করা হচ্ছে এমন একটি হোটেল ও স্পা, যা গ্রীষ্মকালে পানিতে ভেসে থাকবে। আর শীতে বরফে জমে যাবে। হোটেলটির অপরূপ সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এককথায় অপূর্ব।    

‘দ্য আর্কটিক বাথ’ নামের এ হোটেলটির অবস্থান স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উত্তরাঞ্চলে লিউলে নদীর ওপরে। হোটেলটির অবস্থান সুমেরুর প্রভা বা নর্দার্ন লাইট উপভোগের জন্য খুবই চমকপ্রদ।

হোটেলটির বৃত্তাকার গঠন প্রকৃতি এর ভেতরের পরিবেশ ও অতিথিদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে। এ এমন এক স্বর্গ যেখানে অতিথিরা আয়েশ করে স্থানীয় শীতল পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।

হোটেলটিতে থাকছে ছয়টি বিলাসবহুল কক্ষ। প্রতিটি কক্ষ থেকে উপভোগ করা যাবে শীত-গ্রীষ্মের সৌন্দর্য। হোটেলটি নদীর তীরের সঙ্গে মজবুত করে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।

আর্কটিক বাথের খোলা ছাদে রয়েছে সূর্যস্নান, বরফ স্নান এবং নর্দার্ন লাইট ও তারা ভরা আকাশ উপভোগের ব্যবস্থা। এখানে বরফ স্নানের ব্যবস্থাটি অবশ্য দুর্বলচিত্তের মানুষের জন্য নয়। 

৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার এই বরফশীতল পানি সবার উপভোগ না করাই ভালো। এটি বাদ দিলেও তেমন সমস্যা নেই, উপভোগ করার জন্য সূর্যস্নান এবং উষ্ণ স্পার ব্যবস্থা তো থাকছেই। অনেককেই দেখা যায় হিমশীতল পানিতে গোসল করে চলে যান গরম গরম এক গোসল সারতে- এমন ব্যবস্থাও রয়েছে।

শীতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দ্য আর্কটিক বাথ সত্যিই একটি অদ্বিতীয় জায়গা। এর নির্মাণের পেছনের কলাকুশলীরা যথাসম্ভব সম্পূর্ণতা দিচ্ছেন এই হোটেলের সব সেবার ক্ষেত্রেই।

নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত জোহান কাউপ্পি বলেন, জীবনে নতুন কিছু উপভোগের চমৎকার জায়গা হবে এটি। এর চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নকল করার কোনো দরকার নেই। 

হোটেলটির নকশাকার বার্তিল হার্সট্রম বলেন, সুইডেনের প্রাচীন লগ-শিপিং ঐতিহ্য থেকে এর ধারণা নেয়া হয়েছে। ২০ শতকের দিকে জলপথে সুইডেনের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি পরিবহন করা হতো।

তিনি আরও বলেন, ‘শৈশবের স্মৃতি মনে করে হোটেলটির নকশা তৈরি করা হয়েছে। ফেলে আসা যুগের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে এটি।’

হোটেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ না হওয়ায় এটি এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে এটির কার্যক্রম।

হোটেলটি চালু হলে কেউ চাইলে ছয় মাস আগে থেকেই রুমের জন্য অগ্রিম বুকিং দিতে পারবেন। অবকাশকালীন সময়ে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন এই দৃষ্টিনন্দন হোটেলটি।

কেআই/এসি    

   


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি