ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

যৌতুক নিয়ে চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে তালাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৬, ১১ মার্চ ২০১৮

যৌতুক নিয়ে চাকরি পাওয়ার পর তালাক দেওয়ার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পাবনার আদালতে মামলা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী।

গত বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের কনস্টেবল আলামিনের বিরদ্ধে পাবনার আমলি আদালত-৩ এ মামলা করেছেন সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

এই মামলার অভিযুক্ত আসামি ওই পুলিশ সদস্য একই উপজেলার কাজীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী জান্নাতুলকে তালাকনামা পাঠান তিনি।

মামলার নথিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি ছাড়া জান্নাতুলের সঙ্গে আলামিনের বিয়ে হয়। চার দিন পর তিনশ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নগদ পাঁচ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে আরও দুই লাখ টাকা ‘যৌতুক’ হিসেবে নেন আলামিন। পরে জান্নাতুলের পরিবারের ‘চেষ্টায়’ তিনি পুলিশে চাকরি পান। মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুনকেও এ মামালায় আসমি করা হয়েছে।

কিন্তু আলামিন ও তার বাড়ির লোকজন আরও পাঁচ লাখ টাকার দাবিতে জান্নাতুলকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলার আর্জিতে।

সেখানে বলা হয়, জান্নাতুলের বাড়ির লোকজন সমঝোতা করতে চাইলেও আলামিনের বাবা-মা তাতে রাজি না হওয়ায় সুবিচার পেতে আদালতে মামলা করেছেন তারা।

জান্নাতুল গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার সুখের আশায় বাবার রেখে যাওয়া গচ্ছিত টাকা দিয়ে এই বিয়ে হয়। অথচ আমার স্বামী আমার সঙ্গে প্রতারণা করল।”

তার মা নাসরিন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, “এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মেয়ে জামাইকে সাত লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আরও টাকা খরচ করে তাকে পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। চাকরি পেয়েই আলামিন আরও টাকার জন্য তালবাহানা শুরু করে। তারপর এলাকাবাসীর চাপে ওদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়।”

কিন্তু তারপরও আলামিন যৌতুকের জন্যে নির্যাতন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মারধর করে জান্নাতুলকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখন শুনছি সে আমার মেয়েকে তালাকনামা পাঠিয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রউফ জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ এপ্রিল আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কেআই/এসি

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি