ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রণদা প্রসাদ সাহার ১২৫তম জন্মবার্ষিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৮, ১৫ নভেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৫তম জন্মবার্ষিকী ১৫ নভেম্বর, সোমবার। ১৮৯৬ সালের এ দিনে তিনি ঢাকার অদূরে সাভারের কাছুরে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। মায়ের নাম কুমুদিনী সাহা, বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা।

প্রখ্যাত সমাজসেবক, জমিদার ও দানবীর ব্যক্তিত্ব আরপি সাহা নামেই তিনি সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি হাসপাতাল, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গরিবদের কল্যাণার্থে ট্রাস্ট গঠন করেন।

মাত্র সাত বছর বয়সে রণদা প্রসাদ সাহার মায়ের মৃত্যু হয়। পরে বাবা ফের বিয়ে করেন। সংসারের অভাব ঘোচাতে তিনি কলকাতায় যান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৮) শুরু হলে বেঙ্গল কোরে যোগ দিয়ে তিনি তৎকালীন মেসোপটমিয়ায় (বর্তমান ইরাক) যান। যুদ্ধ শেষে সেনাবাহিনী ত্যাগ করে রেলওয়ে বিভাগে টিকিট কালেক্টরের চাকরি নেন। পরে ১৯৩২ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে সঞ্চিত অর্থে কয়লার ব্যবসা শুরু করেন এবং অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকহানাদার বাহিনী রণদা ও তার ২৬ বছর বয়সী সন্তান ভবানীপ্রসাদ সাহা (রবি)-কে তুলে নিয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর তারা বাড়ি ফিরে আসলেও পুনরায় ৭ মে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের আর কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

মানবতাধর্মী কাজে সম্পৃক্ত থাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার রণদাপ্রসাদ সাহাকে রায় বাহাদুর খেতাব প্রদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকার মানবসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় ও তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও টাঙ্গাইলে রণদা প্রসাদের জন্মবার্ষিকী পালনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য ও রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত আরমা দত্ত।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি