ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দেখুন ভিডিও

রণাঙ্গণে নারীও লড়েছে অস্ত্র হাতে, বিসর্জন দিয়েছে প্রাণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৮ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১১:৩৫, ৮ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশ, জনযুদ্ধে অর্জিত একটি দেশ। একত্তরের রণাঙ্গণে নারীও লড়েছে অস্ত্র হাতে, বিসর্জন দিয়েছে প্রাণ। স্বাধীন দেশে জাতির পিতা পাকিস্তানের অন্ধকার যুগ থেকে নারীকে দিয়েছিলেন আলোর দিশা। নারীর ক্ষমতায়নের মূল সূত্র সন্নিবেশিত করেন সংবিধানে। নারী মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীর সংগ্রাম এখনো চলছে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাই নারীকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পেছনে মূল বাধা।

একাত্তরের রণাঙ্গনে পুরুষের পাশাপাশি জনযুদ্ধে সামিল হয়েছিলো নারীরা। পাকিস্তান শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, সামাজ-ধর্মের বেড়াজাল ডিঙিয়ে নারী লড়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। ৫২ থেকে ৭১- প্রতিটি ধাপেই নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন দেশ। 

স্বাধীন দেশে জাতির পিতা নারী উন্নয়নের ভাবনাকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে যুক্ত করেন। সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধারা সন্নিবেশিত করেন।

পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর ধর্মান্ধ-মৌলবাদীর শক্তির আস্ফালনে আবারো পিছিয়ে পড়া। 

নারী মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, দেশের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হলেও আজও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।
নারী যে মানুষ, এই স্বীকৃতি আজও সমাজ তাকে দেয়নি। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, এই স্বীকৃতিটা শুধু মানসিক একটা বিষয় না, এটার জন্য একটি অবকাঠামো লাগবে। যে অবকাঠামোর মধ্যে দিয়ে নারী মানুষ হিসেবে অটোমেটিক দাঁড়িয়ে যাবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই জায়গাটাতে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটু সীমাবদ্ধতা আছে। 

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, নারী নেতৃত্ব তারা প্রমাণ রাখছে। কিন্তু ব্যাপকভাবে নারীরা অগ্রসর হয়ে আসার ক্ষেত্রে সংবিধানে সব কিছু আইনে রূপান্তরিত হয়নি এখনও। সম্পদের উত্তরাধিকার, জমির মালিকানা, নারীরা কৃষকের কাজ করছে কিন্তু তারা কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে না কারণ জমির মালিকানা তাদের নেই। সেটা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।

তবে আশার কথা, তৃণমূল থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। নারীর মধ্যেও অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা সঞ্জিবিত হয়েছে, যা এই সময়ের বড় অর্জন। 

ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, পরিচারিকা থেকে শুরু করে গ্রামে যিনি ধান কাটছেন, কিছু আধুনিক মহিলা আছেন- সবারই অধিকার সম্পর্কে একটা সচেতনতা গড়ে উঠেছে। কম সংখ্যক হলেও কিছু পুরুষ সমাজ এটার পাশে আছেন। এটাই এখনকার সময়ে সবচেয়ে বড় অর্জন কিন্তু এখনও আমাদের অনেক দূর এগুতে হবে।

নারী মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, নারীর অগ্রযাত্রায় উগ্র ধর্মান্ধতা, পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোগত পরিবর্তন ও রাষ্ট্রীয় সীমাবদ্ধতা দূর
করার বিকল্প নেই।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি