রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না চামড়া শিল্প (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৯, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
রপ্তানিতে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না দেশের চামড়া শিল্প। এখাতের কর্মপরিবেশ, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ না থাকায় অনেক দেশেই সরাসরি যাচ্ছে না চামড়া।
তবে সম্প্রতি দেশের ৩টি প্রতিষ্ঠান এ সনদ পেয়েছে। দেশের চামড়া শিল্পের বিকাশ তথা সার্বিক অর্থনীতির স্বার্থে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে প্রয়োজনীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের দাবি উদ্যোক্তাদের।
দীর্ঘদিন ধরেই বলা হচ্ছে, তৈরি পোশাকের পরই দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত চামড়া। তবে নানা জটিলতায় এ সুযোগ কাজে লাাগানো সম্ভব হয়নি। হাজারিবাগ থেকে টেনারি স্থানান্তর হয়েছে সাভারে। কিন্তু সেখানেও কারখানার কর্মপরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ডের প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি।
আর এতে চামড়া শিল্প নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ বা এলডব্লিউজির সনদ বঞ্চিত দেশের প্রায় শতভাগ প্রতিষ্ঠান। আর এ সনদ না থাকায় উন্নতবিশ্বে সরাসরি চামড়া রপ্তানি করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। রপ্তানিতেও মিলছে না উপযুক্ত মূল্য।
তবে আশার কথা, ঢাকার বাইরে থাকা ৫টি কারখানা সম্প্রতি এলডব্লিউজি সনদ পেয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বসানো সিইটিপির ছাড়াও প্রতি ২০-২৫টি কারখানার জন্য পৃথক ইটিপি দরকার। আর এটা হলে কারখানার কর্মপরিবেশ ভালো হবে। মিলবে এলডব্লিউজি সনদও।
বাংলাদেশ টেনার্স এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, “অন্তত ২০-২৫টি ট্যানারি যাদের জায়গার সংকলন আছে তাদেরকে সফট লোনের মাধ্যমে পার্সোনাল ইটিপি করতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা। ছোট ছোট ট্যানারিগুলোকে সেন্ট্রাল ট্রিটমেন্টের ভেতরে এনে মানদন্ডের মধ্যে পরিচালনা করতে হবে।”
চামড়া শিল্পের মান উন্নয়নের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদেরও। নতুন ইটিপি স্থাপন ব্যবসার ব্যয় বাড়বে জানিয়ে তারা বলছেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে মানসম্পন্ন সিইটিপি না হওয়ার জন্য দায়ীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যদি ইটিপি করতে হয় সেটা ব্যয়সাপেক্ষ। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করতে হবে। সেটা করতে তারা বাধ্য হচ্ছে। যেটা ৫ মিলিয়ন ১০ মিলিয়ন হতে পারতো সেই পুরো জিনিসটাকে আমরা ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছি। সাভার প্রকল্পের অব্যবস্থাপনার জন্যে। এটার বিচার হওয়া দরকার।”
এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে দেশে থেকে ৪২ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলারের চামড়া ও চমড়া পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম।
এএইচ
আরও পড়ুন