রফতানিকারক নিজেই ইস্যু করতে পারবেন জিএসপি সনদ
প্রকাশিত : ১৮:৪৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮
আগামী বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশের রফতানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্বয়ংক্রিয় `দ্য রেজিস্টার্ড এক্সপোর্টার সিস্টেমে (রেক্স)` যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে ইইউতে শুল্ক্মুক্ত সুবিধা বা জিএসপি সনদ নিতে রফতানিকারকদের আর রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) যেতে হবে না। রফতানিকারক নিজেই নিজের পণ্যের জিএসপি সনদ ইস্যু করতে পারবেন। ২০১৯ সালজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে এ পদ্ধতি। পরের বছর থেকে চূড়ান্তভাবে চালু হবে।
ইইউ বিভিন্ন দেশকে জিএসপি সুবিধা দেয়। ইইউভুক্ত দেশের আমদানিকারকরা বিনা শুল্ক্কে বা সামান্য শুল্ক্কে এসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এ সুবিধা পেতে রফতানিকারকদের রফতানি চালানের বিপরীতে দেশের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ থেকে জিএসপি সনদ নিতে হয়। যেখানে পণ্যের কাঁচামাল, উৎপাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য থাকে। বাংলাদেশের রফতানিকারকদের জিএসপি সনদ দেয় ইপিবি। রফতানিকারকরা ইপিবি থেকে ৩০০ বা ৫০০ টাকায় ফরম কিনে সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সনদের আবেদন করেন। ইপিবি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সনদ দিয়ে থাকে। প্রতি বছর চার থেকে সাড়ে চার লাখ জিএসপি সনদ ইস্যু করে ইপিবি। রেক্স হচ্ছে জিএসপি সনদের জন্য ইইউর চালু করা একটি অনলাইন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। যেখানে একটি দেশের রফতানিকারকরা নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিজেদের পণ্যের জিএসপি নিজেরাই ইস্যু করতে পারবেন। বাংলাদেশের রফতানিকারকদের নিবন্ধন দেবে ইপিবি। ইপিবি রফতানিকারকদের একটি রেক্স নিবন্ধন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দেবে। রফতানিকারকরা নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে রেক্স পদ্ধতির সার্ভারে প্রবেশ করে নিজেরাই সনদ ইস্যু করবেন। তবে রফতানিকারকদের ইস্যু করা সনদ যাচাই-বাছাই করতে পারবে ইপিবি।
ইপিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশ এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে রেক্স পদ্ধতিতে যুক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্বের ৫১টি দেশ পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকা রয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ইইউ এ পদ্ধতি চালু করে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পাওয়া দেশগুলো পরীক্ষামূলকভাবে রেক্স পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর পর ভুলত্রুটি সংশোধন করে নিতে আরও ছয় মাস সময় পাবেন রফতানিকারকরা। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে পূর্ণমাত্রায় চালু হবে রেক্স। এরপর ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে রফতানিতে রেক্স পদ্ধতি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে। তবে ছয় হাজার ইউরোর কম রফতানির ক্ষেত্রে এ পদ্ধতির ব্যবহার দরকার হবে না।
আরও পড়ুন