ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রফতানিতে টানা চারবার স্বর্ণপদক পেলো প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৭, ১৭ জুলাই ২০১৮

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে টানা চতুর্থবারের মতো (২০১৪-২০১৫ অর্থবছর) জাতীয় রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ ও রৌপ্য ) পেয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ এর প্যাসিফিক জিন্স ও ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড। এর আগের তিনবার স্বর্ণ ও রোপ্যপদক পেলেও রফতানিতে টানা চারবার স্বর্ণপদক পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেমের কাছ থেকে রোববার দেশের শীর্ষ রফতানিকারক হিসেবে ১৬তম জাতীয় রফতানিট্রফি (স্বর্ণ) গ্রহণ করেন প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মো. নাছির উদ্দিন ও রফতানি ট্রফি (রৌপ্য) গ্রহণ করেছেন একই গ্রুপের পরিচালক সিআইপি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির।

ইতঃপূর্বে তিনবার স্বর্ণ ও রোপ্যপদক পেলেও গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ইপিজেড ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ, রোপ্য এবং ব্রোঞ্জ তিনটি পদকই পেয়েছে জিন্স রফতানিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ কোম্পানি।

প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড ইপিজেড ক্যাটাগরিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জাতীয় রফতানিতে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এছাড়া একই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে একই গ্রুপের জিন্স ২০০০ লিমিটেড ও প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড। ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড এর আগে এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাতীয় রফতানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ছয়টি স্বর্ণপদক, ছয়টি রৌপ্যপদক ও দুটি ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে।

১৯৮৪ সালে প্যাসিফিক জিন্স এর যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেডে দেড়হাজার শ্রমিক নিয়ে এ পোশাক কারখানা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে এ গ্রুপের পাঁচটি কারখানা রয়েছে। বেপজা নিয়ন্ত্রিত দেশের আট ইপিজেডের মধ্যে দেশি-বিদেশি মালিকানায় চালু ও অপেক্ষামান ৫৫২টি কারখানার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইয়াংওয়ান গ্রুপের পরেই প্যাসিফিক গ্রুপের অবস্থান। চট্টগ্রাম ইপিজেডের মধ্যে প্যাসিফিকই বৃহত্তম পোশাকপ্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এখানে ২৬ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। বিগত দেড় দশকে প্যাসিফিক গ্রুপের বার্ষিক রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে।

অা অা/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি