রফতানিতে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা চায় বিজিএমইএ
প্রকাশিত : ১৯:২৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ’র নবনির্মিত কমপ্লেক্সে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান সমিতিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
বিশ্ব বাজারে পোশাকের দাম বাড়ছে না। অথচ প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে শিল্পের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে (২০১৪ থেকে ২০১৮) উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের দরপতন হয়েছে -৭ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশ। ইউরোপে দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া ডলারের বিপরীতে প্রতিযোগী দেশগুলোরে মুদ্রা অবমূল্যায়ন হলেও বাংলাদেশে স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণে সুদের হারও কমেনি। সার্বিক বিবেচনায় দেশের পোশাক শিল্প খারাপ অবস্থায় আছে।
এ অবস্থার উত্তরণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানাচ্ছে বিজিএমইএ।
নতুন মজুরি কার্যকর হওয়ার পর খরচ আরও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, একটা সংকটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে তৈরি পোশাক শিল্প। বর্তমানে নতুন বাজারে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে নগদ সুবিধা বহাল আছে। আপদকালীন সহায়তা হিসেবে অন্তত এক বছরের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছি।
এ সহায়তা দিলে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে সরকার এ শিল্প থেকে চার গুণ বেশি রাজস্ব পাবে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের প্রায় এক হাজার ২০০ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বন্ধ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নগদ সহায়তা পেলে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
ভ্যাটের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পোশাক শিল্প ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এ হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলবো ভ্যাটের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি আপনারা বন্ধ করুন।
তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী বন্ডের সুবিধার অপব্যবহার করছেন। কিন্তু ঢালাওভাবে শিল্পকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যা বিজিএমইএ সমর্থন করে না। তাই যারা বন্ডের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় ভবন অবৈধ হওয়ার জন্য রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী। তৎকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইপিবি আমাদের রাস্তার পাশে না দিয়ে ঝিলের মধ্যে জায়গা দেয়। এখন এর দায়ভার তাদের নিতে হবে। এজন্য ইপিবি দায়ী, প্রয়োজনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। আমাদের নতুন ভবন নিয়ে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। সব আইনি পদক্ষেপ সম্পন্ন করেই এখানে আসতে পেরেছি, এটা আমাদের সফলতা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক হাসান, সহ সভাপতি এসএস মান্নান (কচি), সহ সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছিরসহ সমিতির পরিচালকরা।
আরকে//
আরও পড়ুন