ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রবিউল আউয়াল মাসে করণীয়-বর্জনীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৯, ৯ অক্টোবর ২০২২

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসেই পৃথিবীতে আগমন করেন। এ মাসের ১২ তারিখে ইহজগতের মানুষের কল্যাণে পথ প্রদর্শন করতে মহান রাব্বুল আলামিন মা আমেনার গর্ভ থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন এ মহামানবকে। পৃথিবীর মানুষ যখন নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পশুত্বের রূপ ধারণ করে চলছিল, ঠিক সেই সময়ে রাসুল হিসেবে নবী মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়াতে আগমন করেন। আবার এ মাসেই তাঁর ওপর অর্পিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে আপন রবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি।

এ মাসটি মুসলিম উম্মাহর জন্য স্মৃতিবিজড়িত ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ মাসকে ঘিরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের নামে ছড়িয়ে পড়েছে নানা বিভ্রান্তি। শরীয়তের পরিভাষায় যাকে বেদয়াত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো এ মাসের ১২ তারিখকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম-এর জন্মদিন হিসেবে পালন করা এবং সে উপলক্ষে ঢোল তবলা ও বিভিন্ন র‌্যালির আয়োজন করা।

জন্মদিন উদযাপন ইসলাম স্বীকৃত কোন বিষয় নয়। ইতিহাসবিদদের মতে ইসলাম-পূর্ব বাইবেল, রোমান ও গ্রীক সভ্যতায় জন্মদিন পালনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। স্বভাবতই ইসলামী শরীয়তে নেই এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করেন না আলেম সমাজ। ঢোল তবলাসহ বিভিন্ন বাদ্যের সাথে যখন বিষয়টিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম-এর পৃথিবীতে আগমনের দিন হিসেবে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয় -এর কঠোর সমালোচনা করে থাকেন ইসলামী চিন্তাবিদগণ। 

শুধু রবিউল আউয়ালে তার জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা ও রাসুলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন নয়। দরকার নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শের যথাযথ অনুসরণ। তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, সেই আদর্শের আলোকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে সাজাতে পারলেই তাকে ভালোবাসার সুফল আমরা লাভ করতে পারবো।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য রাসুল (সা.)-এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ, তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।’- (সুরা আহজাব, আয়াত, ২১) 

তাই নবীজির আগমনের মাসে তার আনীত একনিষ্ঠ দ্বীনের ওপর অটল থাকতে হবে। দ্বীন-ইসলামে নেই এমন কোনও বিষয় উদযাপন করা যাবে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের শরীয়তে নেই এমন বিষয় যারা আবিস্কার করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।'-(বুখারী: ২৬৯৭)

অতএব রবিউল আওয়াল মাসে শরীয়ত পরিপন্থী রীতি-নীতি ও কর্ম-কাণ্ড  ও দ্বীনের নামে বিদআত থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব থেকে বিরত থেকে যারা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনকে আদর্শরূপে যারা গ্রহণ করবে সুফল তারাই পাবেন।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি