ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রমজানের বিদায়লগ্ন কাটুক ইবাদতে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ১৯ মে ২০২০

মহিমান্বিত মাস রমজান। প্রায় শেষের পথে কোরআন নাজিলের এ মাস। মহান আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে আমরা ২৫টি রোজা সম্পন্ন করে আগামীকাল ২৬তম রোজা পালন করব। সামনে হয়তো আর তিন থেকে চারটি রোজা বাকি। তারপরই আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে যাবে বছরের শ্রেষ্ঠতম ক্ষমা ও মুক্তির মাস। 

মুমিনরা রমজান মাসকে বিদায় জানাবে অশ্রুসিক্ত চোখে। মহান প্রভুর দরবারে তওবারত অবস্থায় বরকতের এ মাসকে বিদায় জানাব। কারণ মুমিন জানে না, ক্ষমার এ মাসে নিজের পাপগুলো তারা ক্ষমা করিয়ে নিতে পেরেছে কি-না! পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজের অন্তঃকরণ পবিত্র করে মহান রবের রেজামন্দি হাসিল করতে পেরেছে কি-না।

যে ঐশী বার্তা নিয়ে মুমিন জীবনে এ মাসের আগমন ঘটেছে, তা থেকে সে কতটুকু আহরণ করতে পেরেছে, আগামী ১১টি মাস পাপ থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পেরেছে, রমজানের শেষলগ্নে সে এই চিন্তায়ই বিভোর থাকে। এ জন্য রমজান যতই শেষের দিকে যায়, ততই তার মস্তক মহান রবের প্রতি অবনত হতে থাকে।

প্রিয় নবী (সা.) নিজেও রমজানের শেষের দিকে ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতেন। হাদিসে এসেছে, যখন রমজানের শেষ ১০ দিন আগমন করত, তখন মহানবী (সা.) নিজেকে ইবাদতের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুত করে নিতেন। রাত্রি জাগরণ করতেন এবং পরিবারের লোকদের ইবাদতের জন্য জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি)

মুমিনদের উচিত রমজানের বিদায়লগ্নে সর্বোচ্চ পরিমাণ ইবাদত করা, রাত জেগে বেশি বেশি তওবা করা, সব ধরনের পাপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ, রমজান পেয়েও যে ব্যক্তি নিজের পাপগুলো ক্ষমা করাতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।

হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) মিম্বারে বসে তিনবার 'আমিন' বললেন। তখন সাহাবি আবু হুরায়রাহ (রা.) এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, জিবরাইল এসে বদদোয়া করলেন, যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও গোনাহ মাফ করাতে পারল না, সে জাহান্নামে যাক এবং আল্লাহ তাকে রহমত থেকে বঞ্চিত করুন! তখন 'আমিন' বললাম। জিবরাইল একই বদদোয়া করলেন সেই ব্যক্তিদের জন্য, যারা মাতাপিতা পেয়েও তাদের সঙ্গে সদাচরণ করল না এবং রাসুলের নাম শুনেও সালাত তথা দরুদ পড়ল না। তখন রাসুল (সা.) আরও দুইবার 'আমিন' বললেন। (ইবনে হিব্বান, ইবনে খুজাইমাহ)

এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি