ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রমজানে পেপটিক আলসার ও পিত্তথলির প্রদাহে করণীয় (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৮:০৯, ২৯ মে ২০১৯

রমজান মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। তবে রোজার সময়ে সার্জারীর প্রয়োজন হতে পারে। এ সময় পেপটিক আলসার বেড়ে যেতে পারে, পিত্তথলির প্রদাহ এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই এ সময় সমস্যা এড়াতে কী করতে হবে? কী কী সতর্কতা অবলম্বন করলে সার্জারী পরবর্তী রোজা রাখা সম্ভব হবে। এ নিয়ে একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিয়াম ও আপনার স্বাস্থ্য’র এবারের পর্বে আলোচনা করা হয় ‘রমজান ও সার্জারী’ নিয়ে।

আলোচনা করেছেন অধ্যাপক ডা. সালমা ইয়াসমিন চৌধুরী, সার্জারী বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ‍উপস্থাপনায় ছিলেন, ডা. নন্দিনী সরকার। শ্রুতি লেখক- মাহমুদুল হাসান

অধ্যাপক ডা. সালমা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ‘রমজানের সময় সাধারণত পেপটিক আলসার, পিত্তথলির পাথর এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় রমজানে অপারেশনে প্রয়োজন লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় পেপটিক আলসার বেড়ে যেতে পারে। রমজানে পেপটিক আলসার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তবে আলসার যদি কম থাকে এবং খাবার যদি পরিমিত খাওয়া হয় তাহলে রোজা রাখতে সমস্যা নেই।’

‘এ সময় পেটের মধ্যে বদ হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই তাই বদ হজমের অসুবিধা দেখা দিলেই ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।’

‘খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরণে পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এর কারণে মলের সঙ্গে রক্তপাত, পাই‌লস, আলসার, পেটে ব্যথা, এনালফিসার এবং ফিসটুলার মতো জটিল রোগ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সম্পর্কে জানা জরুরি। তাই তাদেরকে এ সময় শতর্ক থাকতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. সালমা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ‘এ সময় পিত্তথলির প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে। পাথর থাকতে পারে। এটা সাধারণত নারীদের বেশি হয়ে থাকে। আমার সাধারণত তাদের সমস্যার তীব্রতার আলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে ব্যাথা যদি না কমে তাহলে অপারেশন করতে পরামর্শ দেই।’

তিনি বলেন, ‘পিত্তথলির অপারেশনের পর রোগীকে বেশ কয়েকদিন এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। তাই অনেক সময় রমজানের সময়ের সঙ্গে এডজাস্ট করা যায় না। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ১০ দিন পর তার রোজা রাখা যেতে পারে।’

যাদের পিত্তথলির অপারেশন করা হয়েছে তাদের জন্য খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। মশলা, তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। ভাজা-পোড়া খাবার বাদ দিতে হবে।

এসময় অপারেশনের রোগীর যদি জটিলতা দেখা দেয় তাহলে তাকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। সহজে হজম হয় এসব খাবার খেতে হবে।

দেুখন ভিডিও :

এমএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি