ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

রমজান কাটুক সূরা কাহফের সাথে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ১৯ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১২:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০২০

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য বার মাসের একটি টাইম ফ্রেম তৈরি করে দিয়েছেন। প্রতিটি মাসের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা মর্যাদা। কিন্তু একটি মাসকে তিনি রেখেছেন শুধুমাত্র তার জন্য নির্দিষ্ট করে। বর্তমানে পৃথিবীতে একটি কঠিন সময় যাচ্ছে। মানুষ ঘরবন্দি, অনেকে মহামারিতে আক্রান্ত, কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন। এরই মধ্যে পৃথিবীতে অর্থাৎ মুসলমানদের কাছে রমজান এসেছে মুক্তির বার্তা নিয়ে।

আমাদের মনে রাখতে হবে- এ পৃথিবীকে আল্লাহ আমাদের জন্য পরীক্ষাগার করে তৈরি করেছেন। তাই মাহে রমজানে নিজেকে পবিত্র করে মুক্তির পথ খুঁজে নেওয়ার সুযোগটি এখনই কাজে লাগানো উচিৎ। এ মাসে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আমল। রয়েছে সেই আমলের ফজিলত। আজ একটি আমল নিয়ে কিছু কথা এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল। 

এই রমজান কাটুক সূরা কাহফের সাথে। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন শরিফের ১৮ নম্বর সূরা এটি। আয়াত সংখ্যা ১১০, রুকু ১২। এটি ১৫ নম্বর পারার দ্বিতীয় সূরা।

এ সূরা সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘তাওরাত ও ইনজিলের আলেমরা মহানবী (স.) নবুওয়ত সম্পর্কে কী বলেন তা জানার জন্য মক্কার লোকেরা দু’জন লোককে মদিনার ইহুদিদের কাছে পাঠাল। ইহুদি আলেমরা তাদের বলল, আপনারা আপনাদের নবীকে তিনটি প্রশ্ন করবেন। যদি এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেন তাহলে তিনি সত্য নবী, আর উত্তর দিতে না পারলে তার নবুওয়ত সঠিক নয়। অতঃপর তোমরা তার ব্যাপারে যে কোন সিদ্বান্ত নিতে পার।

প্রশ্নগুলো হলো-

১. এক যুগে কিছু যুবক শিরক থেকে মুক্তিলাভের জন্য জন্মভূমি ত্যাগ করে একটি পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে ছিল, তাদের ঘটনা বলুন।
২. ওই ব্যক্তির কথা বলুন যিনি পূর্ব ও পশ্চিম পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন।
৩. রুহের স্বরূপ কী?

প্রশ্নগুলো নিয়ে নযর এবং উকবাহ মক্কার কুরাইশদের নিকট ফেরত আসল। তারা কুরাইশদেরকে বললঃ আমরা মুহাম্মাদ ও তোমাদের মাঝে ফয়সালাকারী একটি বিষয় নিয়ে এসেছি। এই বলে তারা প্রশ্নগুলো সম্পর্কে কুরাইশদেরকে জানাল এবং বললঃ মদীনার ইহুদী আলেমগণ আমাদেরকে বলেছে, আমরা যেন প্রশ্নগুলো মুহাম্মাদের সামনে পেশ করি। সুতরাং তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট আগমণ করল এবং উপরোক্ত তিনটি প্রশ্ন করল। তিনি বললেনঃ আগামীকাল আমি তোমাদেরকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিব। কিন্তু তিনি ইনশা-আল্লাহ্ বলতে ভুলে গেলেন। কাফেররা আগামীকালের ওয়াদা নিয়ে চলে গেল। ইনশা-আল্লাহ্ না বলার কারণে ১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও এ ব্যাপারে কোন অহী আসল না এবং জিবরীলও আগমণ করলনা।

ঐ দিকে মক্কার কুরাইশরা বলাবলি করতে লাগলঃ মুহাম্মাদ আগামীকালের ওয়াদা করেছে। আর আজ পনের দিন হল। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রশ্নগুলোর কোন উত্তরই দিতে পারে নি। এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চিন্তিত হলেন এবং বিষয়টি তাঁর কাছে কঠিন আকার ধারণ করল। অতঃপর পনের দিন পর জিবরীল সূরা কাহাফসহ অবতীর্ণ হলেন। তাতে আসহাবে কাহাফের ঘটনা, যুল কারনাইন বাদশার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এবং রূহের তথ্যও উল্লেখ করা রয়েছে।

ইহুদিদের প্রথমোক্ত দুই প্রশ্নের উত্তরে এ সূরাটি নাজিল হয়েছে। এতে গুহায় আত্মগোপনকারী যুবকদের ঘটনা সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে। তাদেরই আসহাবে কাহাফ বলে। কাহাফ অর্থ গুহা। আসহাবে কাহাফ মানে গুহাবাসী। এ গুহা নামেই সূরাকে সূরা কাহাফ বলা হয়।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে যুলকারনাইনের কথা বলা হয়েছে।

আর তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর সূরা বনি ইসরাইলের ৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে। এ সূরায় হযরত মুসা আলাইহিস সালামের ঘটনাও বর্ণিত হয়েছে। উল্লিখিত তিনটি ঘটনা এ সূরার কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়।

বিভিন্ন হাদিসে সূরা কাহাফের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত জুমার দিন এ সূরা তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। নিচে কিছু সহিহ হাদিস উল্লেখ করা হলো-

এক. হজরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। -সহিহ বোখারি: ৫০১১, ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম: ৭৯৫

দুই. হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে।’ -সহিহ মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩

তিন. হযরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, তাহলে সেটা তার জন্য নূর হবে তার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত এবং যে সূরার শেষ দশ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’-সুনানে নাসাঈ: ১০৭২২

চার. হযরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর হবে। -শোয়াবুল ঈমান: ২২২১

পাঁচ. হযরত নাওয়াস ইবনে সাময়ান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সকালে দাজ্জালের কথা আলোচনা করলেন। তিনি আওয়াজকে উঁচু-নিচু করছিলেন, ফলে আমরা মনে করলাম দাজ্জাল খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। অতঃপর যখন আমরা উনার কাছে গেলাম তখন তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে ফেললেন। তিনি বললেন, তোমাদের কী হলো। আমরা বললাম, আল্লাহর রাসূল! আপনি সকালে দাজ্জালের কথা আলোচনা করেছিলেন, আওয়াজকে উঁচু-নিচু করেছিলেন- তাই আমরা মনে করলাম দাজ্জাল হয়তো খেজুর বাগানেই আছে। তিনি বললেন, তোমাদের ক্ষেত্রে দাজ্জাল ছাড়া অন্য কিছুতে এত বেশি ভয় আমাকে দেখানো হয়নি। যদি আমি তোমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় সে বের হয়, তাহলে তোমাদের ছাড়া আমি সর্বপ্রথম তার প্রতিরোধ করব। আর যদি তোমাদের মাঝে না থাকা অবস্থায় সে বের হয়, তাহলে প্রত্যেকে তার প্রতিরোধ করবে। আল্লাহর শপথ! প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আমার খলিফা রয়েছে। নিশ্চয় দাজ্জাল কোঁকড়া চুলবিশিষ্ট যুবক হবে এবং তার চোখ কানা হবে। যেন আমি আবদুল ওযা ইবনে কাতালের মতো তাকে দেখতে পাচ্ছি। তোমাদের মধ্যে যে তাকে পাবে সে যেন সূরা কাহাফের শুরু অংশ পড়ে। -সহিহ মুসলিম: ২৯৩৭, সুনানে আবু দাউদ: ৪৩২১, তিরমিজি: ২২৪১

 

আল্লাহর রসূল হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) প্রতি জুম্মার দিনে সূরা আল কাহফ পাঠ করতে বলেছেন। শুক্রবার দিনে সূরা কাহফ পাঠের অনেক বড় ফজিলত বর্ণনা করেছেন এবং গুরুত্ব প্রদান করেছেন।

সূরা কাহফ-এ আল্লাহ সুবহানা তায়ালা ধারাবাহিক ৪টি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যার প্রতিটি ঘটনার পিছনে বিশেষ একটি সতর্কবাণী বা পরিক্ষার ইঙ্গিত রয়েছে।

আসুন সংক্ষিপ্ত পরিসরে কাহিনীগুলো এবং তার অন্তরনিহিত সতর্কবাণী গুলো জেনে নেই।
১। আসহাবে কাহফ
এই ঘটনাটি ঐ যুবকদের যারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ঈমান এনেছিল, আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এবং শিরক করা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছিলেন। তাদের দেশের লোকজন এবং বাদশাহ মূর্তি পূজা করত এবং মূর্তি পূজা করতে উৎসাহিত করত। তখন তারা তাদের দ্বীন রক্ষার্থে আল্লাহর একত্ববাদ-কে বুকে ধারন করে দেশ ত্যাগ করেন এবং একটি গুহাতে আশ্রয় নেন। আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করেছিলেন, হেদায়েত করেছিলেন এবং সূর্য থেকে রক্ষা করেছিলেন। একটি নিদিষ্ট সময় পরে তারা ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল এবং শহরের লোকজনকে ইমানদার পেয়েছিল।
সতর্কবাণী : ঈমান ও বিশ্বাসের পরীক্ষা।

২। বাগান-ওয়ালার ঘটনা
আল্লাহ সুবহানা তায়ালা অনুগ্রহ করে এক লোককে প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ দুটি বাগান দান করেছিলেন। কিন্তু লোকটি সময়ের ব্যবধানে আল্লাহর শোকরিয়া আদায়ে বিরিত থাকল এবং নিজেকে অকৃতজ্ঞ প্রমাণ করল। এমনকি মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়ল। তখন আল্লাহ সুবহানা তায়ালা তার বাগান ধ্বংস করে দিলেন। পরবর্তীতে লোকটি তওবাহ করেছিল কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়েগিয়েছিল, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেননি।
সতর্কবাণী : সম্পদ দানের মাধ্যমে পরীক্ষা।

৩। হযরত মুসা (আঃ) ও খিজির (আঃ) এর ভ্রমণ
হযরত মুসা (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল - ‘এই পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী কে?’। তিনি উত্তরে বললেন- ‘আমি’। কিন্তু আল্লাহ সুবহানা তায়ালা উনাকে জানিয়ে দেন আমন কেউ একজন আছেন যিনি হযরত মুসা (আঃ) থেকে বেশি জ্ঞানের অধিকারী। অতঃপর হযরত মুসা (আঃ) ও খিজির (আঃ) এর সাথে ভ্রমণ করলেন, শিখলেন ‘যে সকল জিনিসকে বা বিষয়কে আমরা অন্য চোখে দেখি আল্লাহর ইচ্ছায় সেখানেও আসমানি জ্ঞান লুকায়িত থাকতে পারে।’
সতর্কবাণী : জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে পরীক্ষা

৪। জুলকারনাইন ক্ষমতা ও জ্ঞানের রাজা 
জুলকারনাইন একজন মুসলিম বাদশাহ যাকে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা ক্ষমতা ও জ্ঞান দান করেছিলেন। তিনি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত অভিযান করেছেন। তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানা তায়ালার রহমতে তিনি তামা ও লোহার মিশ্রণে একটি সুবিশাল দেয়াল তৈরি করার মাধ্যমে ইয়াজুজ ও মাজুজ এর সমস্যা সমাধানে সমর্থ হোন।
সতর্কবাণী : ক্ষমতার পরীক্ষা।

সূরা কাহফ-এর মাঝামাঝি এসে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা হযরত আদম (আঃ) এবং ঈবলিশ- এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন আর এই বলে আমাদেরকে সতর্ক করেছেন যে ঈবলিশ অহংকার করেছিলো এবং সে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

কিয়ামাত সংগঠিত হওয়ার আগে দাজ্জাল ৪টি পরীক্ষা বা ৪টি কথা নিয়ে হাজির হবে। আর সে কথা গুলো হল-
১) দাজ্জাল লোকেদেরকে বলবে আল্লাহকে রেখে তার ইবাদাত করতে। আর এটাই ঈমানের পরীক্ষা।
২) দাজ্জালকে বৃষ্টি বর্ষণ আর বন্ধের ক্ষমতা দেয়া হবে এবং সে তার সম্পদ দ্বারা মানুষকে লোভ দেখাবে। আর এটাই সম্পদের পরীক্ষা।
৩) দাজ্জাল আশ্চর্য সব খবর দিবে এবং জ্ঞানের কথা বলবে। আর এটাই সেই জ্ঞানের পরীক্ষা।
৪) দাজ্জাল পৃথিবীর অনেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করবে আর তার ক্ষমতার দাপট দেখাবে। এটাই সেই ক্ষমতার পরীক্ষা।

দাজ্জালের এই কঠিন ফিতনা হতে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে হলে যে সকল উপায় উপকরণ প্রয়োজন তা সূরা আল কাহফ এ আল্লাহ সুবহানা তায়ালা বর্ণনা করেছেন।

করোনার এই দুঃসময়ে হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাজ্জাল, ইমাম মাহদী, কিয়ামাতের কথা বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। এখন আমরা যদি সহীহ হাদীস থেকে দাজ্জালের ফিতনার ব্যাপারে নির্দেশনা পেতে চাই তাহলে প্রথমেই আসবে সূরা কাহফের কথা।

আমরা অনেকেই জুমুআ বারে সূরা কাহফ তিলাওয়াতের আমলটা করি, কিন্তু সূরা কাহফের বিষয়বস্তু নিয়ে জানি না। অনেক সময় এই আমলটা হয়ে যায় যান্ত্রিক। তাই আমাদের একটা উদ্দেশ্য থাকবে যেন এই সূরাটা শুধু একটা মন্ত্রের মত না পড়ি, বুঝে পড়তে হবে। 

নিঃসন্দেহে আমরা, সমগ্র মানবজাতি এখন একটা ভয়াবহ কঠিন সময় পার করছি। তবে আশার কথা হচ্ছে- আর কদিন পরেই আসছে আমাদের জীবনের সবচেয়ে অন্যরকম দিন রমজান। রহমত, মাগফিরা ও নাজাত লাভের এই মাসে হয়তো এবার এক সঙ্গে তারাবীহ পড়া হবে না, সেহরী, ইফতার করা হবে না। কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট আমল আমাদের মুক্তির পথ সুগম করবে ইনশাআল্লাহ।  

 

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি