ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে বায়ুদূষণ কমাতে বুধবার থেকে অভিযান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২১, ৪ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীতে বায়ূদুষণ কমাতে বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রণীত কর্মপরিকল্পনা মোতাবেক ৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে মাত্র তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকায় মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করেছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখার যুগ্ম সচিব শামিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ওরিয়েন্টেশনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ছাড়াও এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখার পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী এবং মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমা আশরাফী বিশেষ এ অভিযান সমন্বয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। অনিবার্য কারণবশত প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি সাপেক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্টের তারিখ ও স্থান সমন্বয় করে নিতে পারবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তারাও অনুরূপ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করবেন।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, পরিবেশের সুরক্ষা এখন সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি। অতিরিক্ত দূষণ ও স্বাস্থ্যগত কারণে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমপরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতা হারায় দেশ। তাই, স্মার্ট বাংলাদেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং জনগণকে একটি নির্মল ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি