রাজধানীর ট্যানারী শিল্পের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি
প্রকাশিত : ১৮:৫২, ১০ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৫২, ১০ এপ্রিল ২০১৬
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারী শিল্প সরিয়ে নেয়ার অতিরিক্ত সাত দিন শেষ হয়ে গেলেও, অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাভারের হেমায়েতপুরে কারখানা তৈরী না হওয়া, গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়ায়, তা এখনই সম্ভব নয় বলে জানালেন, বাংলাদেশ ট্যানারীস এসোসিয়েশনের সভাপতি। এদিকে ট্যানারী স্থানান্তরে তিন দফায় আদালতের নির্দেশনা না মানায় ৩ কারখানা মালিককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট।
রাজধানী থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারী সরিয়ে নেয়ার সরকারি নির্দেশের বর্ধিত এক সপ্তাহের শেষ দিন ছিল রোববার। তবে, এদিনেও কর্মব্যস্ত ছিল হাজারীবাগের ট্যানারী কারখানাগুলো। অবশ্য, অধিকাংশ কারখানায় কাজ হয়েছে তাদের নিজস্ব মজুদে থাকা কাঁচা চামড়া আর প্রক্রিয়াজাত চামড়া দিয়ে।
ট্যানারী মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানারীস এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, সরকারের নির্দেশ মানতে রাজি তারা। তবে সাভারের ট্যানারী নগরী প্রস্তুত না হওয়ায়, কারখানা স্থানান্তরে আরও সময়ের প্রয়োজন।
তার দাবি, কারখানা স্থানান্তর নিয়ে টানাপড়েনে বিদেশী ক্রেতা হারানো আশংকা রয়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে দেশী কাঁচা চামড়া ব্যাবসায়ীদেরও।
তবে পুলিশ বলছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১লা এপ্রিল থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশের নিষেথাজ্ঞা থাকায়, তাদের টহল অব্যহত রয়েছে।
এদিকে ট্যানারী স্থানান্তরে এক রীটের নির্দেশনা তিন দফায় উপেক্ষা করায় ৩ কারখানা মালিককে পুলিশে সোপর্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার হাইকোট বেঞ্চের একই আদেশে আরো তিন ট্যানারী মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন