ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের লক্ষ্য এবার পুলিশ হত্যা (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার

প্রকাশিত : ১৩:০০, ৯ নভেম্বর ২০২৩

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের লক্ষ্য এবার পুলিশ হত্যা। কোথায় কোন অবস্থায় নির্দিষ্ট পুলিশ কর্তাদের দেখা মিলবে তারও ছক কষতে শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা। এর জন্য তারা ব্যবহার করছে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস। 

বহুদিন বাদে আবারও অবরোধ। হরতালের দামামা বেজেছে ঢাকার রাস্তায়। এমনকি রাজধানীর বাইরেও শুরু হয়েছে জ্বালাও পোড়াও, হামলা-বিক্ষোভ। 

অপরাধ দমাতে পুলিশও বেশ সরব। কোথাও আবার আগের মতোই অ্যাকশনে। হরতাল-অবরোধে মাঠে কিংবা কেন্দ্রে ভূমিকা রাখছে এমন কর্মকর্তাদের টার্গেট করেছে বিরোধীপক্ষ। পুলিশ কর্তাদের ওপর হামলার ছক কষতে বিভিন্ন অ্যপস ব্যবহার করছে সন্ত্রাসীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার বলেন, “এখন আমার সঙ্গে যেটি হয়েছে এটি হুমকি নয়, স্পষ্ট হত্যার পরিকল্পনা। ছাত্রশিবির বা জামায়াতের লোকজন তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে। অনেকগুলো কনভারসেশন রয়েছেন তার মধ্যে আমার ছবিসহ তারা মেসেস করছিল নিজেদের মধ্যে। তাদের একটি ডেডিকেটেড টিম আমাকে ফলো করছে, যারা আমাকে হত্যা করতে চায়। সেখানে এক জায়গায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে, আজ খুঁজে পেলাম না। তার মানে আমি যদি এটিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করি, আজ যদি খুঁজে পেত তাহলে হয়তো তারা একটি ঘটনার চেষ্টা করতো।”

ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, “যারা অপরাধী তারা নিজেদের ভেতর একটা নেটওয়ার্ক ডেভেলবড করেছে, নানা ধরনের নেটওয়ার্ক আছে তাদের। সেই নেটওয়ার্কগুলো থেকে আমরা অনেকগুলোই পেয়ে যাই। তা নিয়ে অ্যাকশন চলে। যারা ক্রাইম করে তারা শুধু অ্যাকজিকিউশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এর পূর্বে তাদের প্রিপারেশন থাকে, এর আগে প্ল্যানিং থাকে, এরও আগে ইনটেশন থাকে। সুতরাং ইনটেশন-প্ল্যানিং-প্রিপারেশন-এক্সিকিউশন  এই চার পর্যায়ের ভেতরে যারা জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।”

পুলিশের দাবি, বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত থাকলেও মোটাদাগে এরা সরকারবিরোধী। জঙ্গি ছাড়াও আছে জামায়াত-বিএনপির অতি প্রতিক্রিয়াশীল অংশ।

ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, “দেশের ও দেশের বাইরের পৃষ্ঠপোষকতায় এরা সুপরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে কোনো বিচ্যুতি যে ঘটবেনা এমনটি নয়, ঘটতে পারে। কিন্তু এটা নিয়ে পুলিশের মনোবল কমে যাবে এমনটা আমাদের ভেতর মোটেই পরিলক্ষিত হয়না। তারা যেভাবে ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা করছে, কমিউনিকেশন করছে তার বিরুদ্ধে আমাদের বিশেষজ্ঞ লোকজনও কাজ করছে। তাদের চেয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা অনেক বেশি শক্তিশালী। প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার পুলিশ সদস্য আছে, সবারই মনোবল চাঙ্গা আছে। যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তারা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা সদাপ্রস্তুত।”

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বলেন, “যে রিস ফ্যাক্টরগুলো রয়েছে এগুলো জেনেশুনে আমরা কিন্তু এই চাকরিতে যোগদান করেছি। আমরা জানি, যে কোনো মুহূর্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারি। হুমকি, হত্যার পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ পুলিশের মনোবল ভাঙ্গা যাবেনা। ঢাকার আড়াই কোটি নগরবাসীর সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজটি করতে গিয়ে যতো কঠোর হতে হয় আমরা ততোটুকু কঠোর হতে বিন্দুমাত্র পিছপা হবোনা।”

এবারের হরতালে একজন পুলিশকে হত্যা করেছে টেস্ট কেস হিসেবে। যেমন করে আগেও বহু পুলিশের প্রাণ গেছে টার্গেট কিলিংয়ে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি