ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে এক বছরে কোরবানির পশু পালন কমেছে ২ লাখ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৩, ৪ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৩৩, ৪ আগস্ট ২০১৮

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

প্রতি বছর রাজশাহীর খামারিদের পশু দিয়ে জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার পশু বেশি থাকে। তবে এবারের চিত্র উল্টো। রাজশাহীতে এবার কোরবানির পশু পালন কম হয়েছে প্রায় দুই লাখ। গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে এবারে খামারিরা পশু পালন করেনি।

খামারিরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে লাগামহীনভাবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে চলছে। বেশি দামে বছরজুড়ে গো খাদ্য কেনে পশু পালন করে আনুপাতিক হারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। খামার ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অনেকেই।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার। তবে জেলার ছোট বড় ১৭ হাজার ৭০০টি খামারে কোরবানিযোগ্য পশু মজুদ আছে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০৯।

এর মধ্যে রয়েছে ষাড় ১৮ হাজার ৭১২টি, বলদ ৩ হাজার ৭২৯টি, গাভী ৬ হাজার ৮৩৪টি, মহিষ ২ হাজার ৬০৪টি, ছাগল ৮৫ হাজার ৩১৭টি, ভেড়া ৭ হাজার ৭৮০টি এবং অন্য ৫৩৩টি পশু।

রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরের মে মাসের হিসেব অনুযায়ী রাজশাহীতে এক লাখ ৮৫ হাজার কোরবানির পশু সংকট রয়েছে। তবে কোরবানি ঈদ আসতে আসতে পশু সংখ্যা একটু বাড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক বছরে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। এত খরচ করে খামারারি সে ভাবে লাভবান হতে পারছেন না। সে কারণে অনেক ছোট খামারিরা পশু পালন ছেড়ে দিয়েছে।

ড. জুলফিকার বলেন, গত বছর রাজশাহী জেলায় চাহিদা ছিল তিন লাখ ১০ হাজার পশু। আর জেলার খামারগুলোতে মজুত ছিল তিন লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোরবানীযোগ্য পশু। চাহিদার থেকে ৪৩ হাজার পশু বেশি ছিল।

রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর গ্রামের বুলবুল হোসেন জানান, ‘গত বছর তিনটি দেশি জাতের গরু নিয়ে বাড়িতে ছোট আকারে খামার গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু গত কোরবানী ঈদে বিক্রি করে তিন গরুতে তার ২৪ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তাই তিনি চলতি বছর আর গরু পালন করিনি।’

গোদাগাড়ীর পাকড়ি কসায় পাড়ার মোমেনা বেগম এবার বাড়িতে দুইটি গরু পালন করেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তিনি এই গরুটি পালন করেন।

মোমেনা বেগম জানান, গত বছর ছোট সাইজের দুইটি ষাঁড় কিনে ছিলেন ৮০ হাজার টাকায়। এক বছর লালন পালন করতে তার খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। গত সোমবার বাড়িতে গিয়ে এক গরু ব্যবসায়ী তার দুইটি ষাঁড়ের দাম বলেছে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি