ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে জব্দকৃত গাঁজা বিক্রি করে এসআই ক্লোজড

প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ৫ মে ২০১৯

রাজশাহীর পুঠিয়ায় থানায় জব্দকৃত পাঁচ কেজি গাঁজা বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক এসআই-এর বিরুদ্ধে। সেই গাঁজাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে তিন মাদক ব্যবসায়ী। বিষয়টি পুলিশ সুপারের কানে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-৫ এর একটি দল পুঠিয়া পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তারা র‌্যাবকে জানায় গাঁজাগুলো তারা কিনেছেন পুঠিয়া থানার এসআই মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- পুঠিয়া পৌরসভার কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত শেখ ফরিদ হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম বকুল (৩০), গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকারের ছেলে শ্রী গনেশ চন্দ্র সরকার (৩৮) এবং একই এলাকার আনছার আলীর ছেলে শিমুল ইসলাম (৩০)।

এদিকে, গাঁজা বিক্রির ঘটনায় এসআই মনিরুল ইসলাম শুক্রবার প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ।
তবে গাঁজা কেলেংকারির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ওসি সাকিল দাবি করেছেন, ‘একটি মাদক মামলার তদন্তে ধীর গতি থাকায় এসআই মনিরুলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

অপরদিকে পুলিশ ও র‌্যাবের সূত্র জানায়, গত ২৭ এপ্রিল পুঠিয়া সদরে একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ৯৬ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৫। পরে র‌্যাব বাদী হয়ে ২৮ এপ্রিল পুঠিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুঠিয়া থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, র‌্যাবরে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই মনিরুল ইসলামকে। মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুলের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। পরে এসআই মনিরুল জব্দকৃত গাঁজাগুলো মালখানায় না রেখে থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে রাখেন। সেখান থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ কেজি গাঁজা মাদক ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বকুলের কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে ওই রাতে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর বকুল র‌্যাবকে জানায় এসআই মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে এই পাঁচ কেজি গাঁজা তারা কিনেছেন। বিষয়টি র‌্যাবের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে জানানো হলে শুক্রবার এসআই মনিরুলকে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে গাঁজা বিক্রির কথা অস্বীকার করে মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা র‌্যাবের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। মামলা থেকে বাঁচতে তারা আমার উপর দোষ চাপিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি