রাজশাহীতে জাল রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১
প্রকাশিত : ২২:৫৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাজশাহীতে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। নগরের বোয়ালিয়া থানার বেলদারপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে এই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে র্যাব-২ এর একটি টিম ওই বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ভারতীয় জাল রুপি, জাল রুপি তৈরির মেশিনসহ নানা সরঞ্জামাদি জব্দ করে। এ সময় বাড়ির মালিক দরদুজ্জামান বিশ্বাস ওরফে জামানকে (৫৭) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শুক্রবার সকালে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ। মামলার বরাদ দিয়ে ওসি জানান, দরদুজ্জামান দেশে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির মূলহোতা। এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন। সর্বশেষ গেল জানুয়ারিতে রাজশাহী থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল রুপি ছাড়াও ল্যাপটপ, প্রিন্টার মেশিন, লেমিনেটিং মেশিন, হ্যালোজেন লাইট, স্ক্যানিং করার প্রিন্টার ফ্রেম, কাগজ, বিভিন্ন ধরনের কার্টিজ জব্দ করা হয়েছিল।
এরপর বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন দরদুজ্জামান। মাসখানেক আগে জামিন পান। ঢাকায় তার চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ায় জাল রুপি তৈরির কার্যক্রম রাজশাহী মহানগরীর নিজের বাড়িতেই শুরু করেছিলেন দরুজ্জামান। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শেখতোলায়। বাবার নাম রহিদুল ইসলাম।
র্যাবের বরাদ দিয়ে ওসি আমান উল্লাহ বলেন, বারবার গ্রেপ্তার হলেও জাল রুপি তৈরি করে তা বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণা করেন দরদুজ্জামান। তিনি দেশে জাল রুপি তৈরি চক্রের মূলহোতা। তিনি বাংলাদেশে ভারতীয় জাল রুপি তৈরির ‘গুরু’ হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক লাখ ভারতীয় জাল রুপির বান্ডিল বিক্রি করতেন। এভাবে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
ওসি আমান উল্লাহ বলেন, দরুদুজ্জামান ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশি জাল টাকা এবং ভারতীয় জাল রুপি তৈরি করে আসছেন। তার চক্রটি ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাল রুপি সরবরাহ করে। আর দরদুজ্জামান বরাবরই থাকেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায়। তার নামে তিনটি মামলা আগে থেকেই ছিল। সর্বশেষ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র্যাব দরদুজ্জামানকে জাল রুপি ও রুপি তৈরির নানা সরঞ্জামসহ থানায় হস্তান্তর করে। এ সময় প্রচলিত ধারায় তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়। শুক্রবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমজে/
আরও পড়ুন