ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা আটক

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:২৫, ৮ মার্চ ২০২৩

বিভিন্ন নিয়োগ এবং ভর্তি পরীক্ষার জাল প্রশ্নপত্র ও প্রবেশপত্র তৈরি করে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের মুল হোতা মামুন ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পরীক্ষার প্রবেশপত্র, জীবন বৃত্তান্ত, নাগরিক সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি উদ্ধার করা হয়। 

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যশোহরের বেনাপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

বুধবার দুপুরে আরএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে নয়নকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত জানান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক। গ্রেপ্তার নয়ন ইসলাম রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট এলাকার আজগর হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকায় বসবাস করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বসাক বলেন, নগরীর নিউমার্কেট এলাকার পিজি টাওয়ারের ১০ তলার একটি রুমে বসে নয়ন এই প্রতারণার কার্যক্রম চালাতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখানে পুলিশ অভিযান চালালে সে পালিয়ে যায়। এর পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারতে চলে যান। মঙ্গলবার সে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পেনাল কোডে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আসন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া ও বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রার্থীদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় নয়ন। বিশেষ করে নগরীর বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিকদের সহযোগিতায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ভর্তিচ্ছ ও চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিকট হতে পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি
এবং চুক্তি মোতাবেক অর্থের জিম্মা হিসেবে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহসহ প্রাথমিক খরচ বিকাশ, রকেট এবং নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ টাকা সংগ্রহ করতো।

বিজয় বসাক আরও বলেন, নয়ন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন সহযোগিদের নিয়ে এই প্রতারণার চালিয়ে আসছিল। পিজি টাওয়ার ও তার উপশহরের বাড়ির মালিকের কাছেও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয়। তবে প্রতারণার ক্ষেত্রে তিনি কখনো চিকিৎসক আবার কখনো সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিত।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি