রাজশাহীতে মনোনয়ন চান আ.লীগের চার নেত্রী
প্রকাশিত : ২৩:০০, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫২, ৫ অক্টোবর ২০১৮
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষের দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর তফসিল ঘোষণা চলতি মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম দিকে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিয়েছে দলগুলো। আর দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। এই তালিকায় রয়েছেন রাজশাহীর চার নারী নেত্রী।
এরা হলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিনাতুন নেছা তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগম আখতার জাহান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী অধ্যাপক নার্গিস সুরাইয়া সুলতানা শেলী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের ৩৩ শতাংশ নারীকে সরাসরি মনোনয়ন ঘোষণা দেওয়ায় নারীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় এলাকার মধ্যে তিনটি আসনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন রাজশাহী আওয়ামী লীগের এই চার নেত্রী। তারা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। আসনগুলো হলো- রাজশাহী-৩(পবা-মোহনপুর, রাজশাহী-৪(বাগমারা) ও রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর)।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এবার মনোনয়ন চান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ বেগম আখতার জাহান। বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এছাড়াও এ আসনে এবার মনোনয়ন চাইছেন রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন। তিনিও রয়েছেন ভোটের মাঠে।
মর্জিনা পারভীন জানান, এর আগে দুই দফা আমি পবা-মোহনপুর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। ২০০৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা মনোনয়ন পান। সেই বার আমি তৃণমূলের ভোটে মেরাজ মোল্লার চেয়ে এগিয়ে ছিলাম। এবারও আমি মনোনয়নের প্রত্যাশায় কাজ করছি।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে এবারও মনোনয়ন চান সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক জিনাতুন নেছা তালুকদার। তিনি ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপক নার্গিস সুরাইয়া সুলতানা শেলী। তিনি দুই দফা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী আইনজীবী শরিফুল ইসলাম শরিফও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
নার্গিস সুরাইয়া বলেন, তিনি পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য। কারণ তাদের দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ৩৩ শতাংশ নারীদের মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণার পর আমরা যারা ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম এবং এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি, তারা জনগণের সেবা করার একটি সুযোগ পেয়েছি। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেই নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছি। ইতোমধ্যে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছি। বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট আকারে উঠান বৈঠক করছি। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছি। তবে প্রচার-প্রচারণা চালালেও দলের হাইকমান্ড থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন