রাজশাহীতে রিকশা থামিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি
প্রকাশিত : ১০:১৯, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার খড়বোনা এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সম্প্রতি তিনি কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিউল ইসলাম নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের ছোট ভাই।
রবিউল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রবিউল সাহেব বাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় খড়বোনা এলাকায় রিকশার গতি রোধ করে দুর্বত্তরা রবিউলকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউল ইসলাম রবির নামে পাঁচটি মামলা আছে। এরমধ্যে রাবি শিবিরের সাবেক সেক্রেটারী শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলারও আসামি রবিউল।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহিদুল কারাগারে থাকলেও রবিউল জামিনে বের হয়ে আসেন।
এএইচ
আরও পড়ুন