রাজশাহীতে র্যাব পরিচয়ে ছিনতাইকালে পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ১৭:১০, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে র্যাব পরিচয়ে মোবাইলসহ নগদ অর্থ ছিনতাইকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘাটনায় গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেছেন। রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৩১) ও রাব্বানী (২৭)। এদের মধ্যে মোস্তফা কামাল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দামকুড়া থানায় কর্মরত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামে। অপর আসামি রাব্বী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড়ের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামে এক যুবককে র্যাব পরিচয়ে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। তল্লাশির নামে তারা বুলবুলের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেন। বুলবুল তাদের পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল আবু হেনা তাকে জানান, তিনি র্যাবের লোক।
এ সময় বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে আবু হেনা ও রাব্বী তাকে মারধর শুরু করেন। ওই সময় বুলবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দুইজনকে আটক করে র্যাব ও পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে আরএমপির পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন। পরে র্যাবের একটি দল দুইজনকে আটক করে র্যাব-৫ সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই তাদের থানায় নিয়ে এনে মামলা দেয়া হয়।
ওসি আরও জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় র্যাব দুজনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করে। রাতেই র্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। রোববার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন স্বীকার করেছেন যে, তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই চাপাল গিয়েছিলেন। র্যাবের মিথ্যা পরিচয় দেয়া এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ কনস্টেবল আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, অভিযোগ সত্য হলে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএম/
আরও পড়ুন