ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী সমর্থকদের পেটাল নৌকার কর্মীরা

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:২৬, ২ জানুয়ারি ২০২৪

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর চার নারী কর্মীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে জখম করেছে নৌকার সমর্থকরা।

সোমবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সখোপাড়া গ্রামে হামলায় আহতদের মধ্যে দুই নারীসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সহসভাপতি সাফিনুর নাহার, যুগীপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য ও যুব মহিলা লীগের সদস্য ইশরাত জাহান বিউটি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের ভাতিজি পাপিয়া জাহান, শারমিন আক্তার এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শাহজাহান আলী। 

এদের মধ্যে সাফিনুর, বিউটি ও শাহজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সাফিনুর নাহার গত দুই ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।

পুলিশ ও আহতরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রচার চালাতে দুটি সিএনজি নিয়ে সখোপাড়া গ্রামে যান ছয়জন নারী। তাদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেন আরও কয়েকজন নারী। তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী আবুল কালমে আজাদের সমর্থক খোরশেদ আলমের সামনে নারীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকে প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। 

এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়।  কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাফিনুরের উপর হামলা করে। বিউটি ঘটনা ভিডিও করতে গেলে তার উপরও হামলা করে। খবর পেয়ে সিএনজি চালক তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। 

পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

সাফিনুর নাহার বলেন, ‘আলম বলেন এ এলাকায় নৌকার ছাড়া অন্য কোন প্রতীকের ভোট চাওয়া যাবে না। আমি তার কথার প্রতিবাদ করলে প্রথমে আলমসহ তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে। এরপর নৌকা প্রতীকের আরও ১০-১২ জন সমর্থক আমাদের ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটায়।’

রাতে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান টানা তিনবারের এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এ সময় তিনি সাংবাদকদের বলেন, নৌকার প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনী প্রতিনিয়ত কাঁচির সমর্থকদের উপর হামলা, মারধর করে যাচ্ছে। কোন সভ্য মানুষ নারীদের উপর হামলা করতে পারে না। আর এই হামলা, মারধরের প্রভাব পড়ছে নির্বাচনে। প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতো, তাহলে তারা এ রকম হামলার করার সাহস পেতনা। আমি এ ঘটনার জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদকে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার ফোন রিসিভ করেননি।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার তিনজনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি