রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে হামলা, আহত ৩০
প্রকাশিত : ০৯:০১, ১ জানুয়ারি ২০২৪
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির প্রচার মিছিলে হামলা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকাল গণীপুর ইউনিয়নের মাদিরাগঞ্জ বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাদের বেশিরর ভাই ইটের আঘাতে মাথা ফেটে গেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের শীরেরও ইটের আঘাত লাগে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ৪টার দিকে মাদারিগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশ থেকে গণসংযোগ শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক। গণসংযোগটি প্রচার মিছিলে রূপ নেয়। কাঁচি প্রতীকের স্লোগান দিতে দিতে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রায় দুইশ’ গজ যাওয়ার পর নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে হামলা করা হয়। এ সময় তারা মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ সময় ইটের আঘাত পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক একটি দোকানে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন।
পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল শুরু হয়। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
আহতরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শাহাদত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, হৃদয়, নাইম ইসলাম, আতিক বাশার সবুজ, ফাইসাল, আবু বাক্কার সিদ্দিক, মিঠু, এনামুল হক, আজাদ, মাসুদ রানা, মিজানুর রহমান, তানভিরুল আলম তোহা, আব্দুর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, আবু সাঈদ, মেহের আলী, সোলাইমান আলী, মরিয়ম বেগম, আবেদা বেগম, জাহানারা, ছবেদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক। তার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য এনামুল হকের কর্মী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীও ইটের আঘাত পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক বলেন, প্রচারণা শুরুর পর থেকে নৌকার প্রার্থী বাগমারাজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করে আসছে। যাতে সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে। এর অংশ হিসেবে তারা আমার গণসংযোগ ও প্রচার মিছিলে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা দুই দফায় আকর্ষিকভাবে হামলা করেছে। হামলায় কয়েকজন নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
তবে এ ঘটনার পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, গনীপুর ইউনিয়ন নৌকার প্রচারণা কমিটির আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাবুসহ আমার কর্মীরা মাদারিগঞ্জ বাজারের প্রচারণা অফিসে বসে ছিলেন। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচার মিছিল থেকে আমার অফিসে হামলা করে। এসময় আমার সমর্থকরাও পাল্টা হামলা করে। এতে উভয়পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তাদের ১০ থেকে ১৩ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জানান, পুলিশ ও বিজিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন