রাজশাহী সিটি নির্বাচন আগামীতে মডেল হতে পারে: লিটন
প্রকাশিত : ১৫:১৫, ২২ জুন ২০২৩
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসময়ে তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে মডেল হিসেবে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি।
শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন শেষে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পযায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব। শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সিটি এলাকা সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, নারীরা ও নতুন ভোটাররা আমার আস্থা রেখেছেন। জয়ের ব্যাপারে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তৃতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত করায় নগরবাসীর প্রতি কৃজ্ঞতা জানান খায়রুজ্জামান লিটন।
এক প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে সবাইকে নির্বাচনে আনার। সবাই যেন আসে নির্বাচনের সেই পরিবেশ তৈরি হয়েই আছে। রাজশাহী সিটি নির্বাচন মডেল হিসেবে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন হলে আমি সহায়ক ভূমিকা পালন করবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করার পরও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অনেক ভোট পেয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে আসলে অনেক ভোট পেতে পারতো।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত। এখানে কোন দলের মধ্যে কোন সহিংসতা হয়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে বিএনপি, জামায়াতেরও প্রার্থী ছিল। তাদের ওয়ার্ডেও দু-একটি ছোট ঘটনা ছাড়া তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এটি সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটা উদাহরণ হতে পারে।
এদিকে কুমারপাড়াস্থ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুন:নির্বাচিত নগরপিতাকে ফুলে ফুলে সিক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ। এছাড়া নগর শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও নগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন