রাজশাহী হাসপাতালে অজ্ঞাত সেই কিশোর মারা গেছেন
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ১০ মে ২০২৩
এক সপ্তাহ জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা গেলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজ্ঞাত এক কিশোর। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেই কিশোরের মৃত্যু হয়।
যাকে পাবনার ইশ্বরদী থেকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কানো স্বজন না থাকায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই হাসপাতালে তার দেখাশোনা করেন।
গত ৩ মে অচেতন অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই কিশোরের পরিচয় জানার জন্য সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলেও শনাক্ত করা যায়নি। ২ মে সকালে ওই কিশোরকে পাবনার ইশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি রেললাইনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় তার পরনে ছিল বাদামি রঙের প্যান্ট। শরীরের ওপরের অংশে কোনো পোশাক ছিল না। তার বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। ওই কিশোরের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি বলেন, ২ মে সকাল ১০ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে স্থানান্তর করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের আইসিইউ ইনর্চাজ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, তিনি ৩ মে ও ৭ মে ওই কিশোরের সিটি স্ক্যান করান। তার মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল।
তিনি আরও বলেন, মাথায় এত বড় আঘাতে মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। লাইফ সাপোর্ট লাগানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শিশু আইসিইউয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পরিচয় উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপও নেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল আরও বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই কিশোর মারা যান। এর আগে অনেকেই ওই কিশোরকে নিজের সন্তান দাবি করে হাসপাতালে দেখতে আসেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরকে চিনতে না পারায় সবাই ফিরে যান।
কেআই//
আরও পড়ুন