রাজস্বভুক্ত করার দাবিতে মাউশিতে সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি
প্রকাশিত : ১৯:২৮, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (সেসিপ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় সাতশো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর চত্বরে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন তারা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন। এসময় তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে। সেসিপ কর্মকর্তারা বলেন, ১ হাজার ১৮৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্বভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ সভাপতি এম এ আব্দুল হাকিম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ সেসিপ কর্মকর্তারা করেন। অথচ এ জনবল রাজস্ব খাতে না নিয়ে প্রকল্পভিত্তিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
তিনি বলেন, সেসিপের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত না হলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন চাকুরী করে দেশে বিদেশে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বহু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করার পরও শেষ বয়সে চাকরি নিয়ে হতাশায় দিন পার করছি আমরা।
সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীমা ফেরদৌসি বলেন ১৫-২০ বছর মাঠপর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। অথচ এখন অভিজ্ঞ এ জনবলকে বাদ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে, রাজস্ব খাতে নিতে হবে। এ দাবি পূরণ না করলে আমরা ঘরে ফিরবো না।
অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি-দাওয়া সংবলিত বক্তব্য রাখেন মোজাফ্ফর হোসেন পলাশ (সভাপতি খুলনা), মহিদুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও সাধারণ সম্পাদক (রাজশাহী), সৈয়দা সানজিদা আলম, সহকারি পরিদর্শক (মানিক গণ্জ) সেসিপ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবসহ অন্যরা আমাদের দাবি-দাওয়া যৌক্তিক বলে আসছেন। উনারা যদি দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করেন অবশ্যই আমাদের চাকুরী রাজস্বখাতে নেওয়া সম্ভব। দাবি পূরণে আমরা সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চাই।
আরও পড়ুন