রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ বিজয়ের মাসেই (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৪:০২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯
বিজয়ের মাসেই রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। একাত্তরে বিভিন্ন দফতরে থাকা নথি ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই স্বাধীনতাবিরোধীদের এ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ইতিহাসের স্বার্থেই দেশবাসীর সামনে পর্যায়ক্রমে তালিকা তুলে ধরা হবে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নেমেছিল এ দেশীয় কিছু দালাল। পাকিস্তানের গঠন করা রাজাকার, আল বদর, আল শামস দেশজুড়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতারাজ, অগ্নি সংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। পাকিস্তানিদের দোসর এসব বাহিনীর সদস্যদের নামে নিয়মিত ভাতা আসত। হত্যাযজ্ঞে অংশ নিতে ইস্যু করা হত, আগ্নেয়াস্ত্রও।
শুরুতে এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধ মতাদর্শের রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত, শান্তিবাহিনীর অধীনে থাকলেও পরে একে আধা সামরিক বাহিনীর স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।
এদের নাম পরিচয়, একাত্তরে ভূমিকাসহ সব কিছুর রেকর্ড আছে, স্থানীয় প্রশাসন আর তৎকালীন গয়েন্দা সংস্থাগুলোর নথিতে। সেই সূত্র ধরেই, স্বাধীনতাবিরোধীদের কার কি ভূমিকা? কে কতটা সক্রিয় ছিল? সেসব তথ্য এই ডিসেম্বরেই প্রকাশ হবে।
স্বাধীনতার আটচল্লিশ বছর পর এই উদ্যোগে বির্তক এড়াতে নেয়া হচ্ছে, সর্বোচ্চ সর্তকতা। ইতিহাস বিকৃত করতে, স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে গঠন করা সরকারগুলো যে সব তথ্য নষ্ট করে ফেলেছে, সেগুলো স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ এর সংশোধনে বিষয়টিকে যুক্ত করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। যাতে করে আইনগত ভিত্তি দেয়া যায়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকা, খুলনার আনসার হেড কোর্য়াটার্সের প্রাপ্ত তালিকায় মিলেছিল, ৩০ হাজারের বেশি রাজাকারের তথ্য। আর জেনারেল নিয়াজীর বইয়েও এই সংখ্যা ছিল, ৩৭ হাজার।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল দালালদের। প্রেসিডেন্ট অর্ডারের একটি ধারার আওতায় একটি গেজেটও প্রকাশ হয়েছিল।
একে//