‘রাজাবাবুর’ দাম ২০ লাখ
প্রকাশিত : ১১:১২, ১২ আগস্ট ২০১৮
দুই হাজার ৫৪ কেজি ওজন ‘রাজা বাবুর’। তবে এই রাজাবাবু কোনও মানুষের নাম নয়। দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা বিশালাকৃতির একটি গরু। এ গরু পালন করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের কৃষক খান্নু মিয়া। প্রতিদিন জেলার সবচেয়ে বড় এই গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেক মানুষ। এবার ৫২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম হাকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।
ছয় মেয়ের জনক খান্নু মিয়ার থাকার ঘর বলতে একটি মাত্র টিনের চারচালা। বারান্দার মতো করে তোলা হয়েছে আরেকটি ছাপড়া ঘর। এর নিচেই তিনি লালন-পালন করেন গরু। এক সময় শুধু দুধের গাভি পালন করতেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করেন। গরু লালন-পালনই এখন তার মূল পেশা।
তিন বছর আগে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা-কালো রঙের একটি ষাড় কিনেছিলেন কৃষক খান্নু। আর তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ইতি আক্তার ষাড়টির নাম রেখেছিল `রাজাবাবু`। পরম যত্নে ইতি আর তা মা-বোনেরা মিলে লালন-পালন করেন ষাড়টি। রাজাবাবু শুধু নামে নয়, তার খাবার-দাবারও সাধারণ পশুর চেয়ে আলাদা বলে জানান ইতি আক্তার।
ইতি জানান, খড়, ভূষি ছাড়াও তাকে খাওয়ানো হয় আপেল, কমলা, মাল্টা, কলা, মিষ্টি লাউ, চিড়া, গুড়সহ নানা রকমের খাবার। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন তার পেছনে খরচ হয় দেড় থেকে ২ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, রাজাবাবু নাকি গরম সহ্য করতে পারে না। যেখানে তাকে রাখা হয় সেখানে তিনটি ফ্যান চলে। তাই কোরবানির সময় ভালো দাম পেলেই তাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।
তিন দাঁতের রাজাবাবুর বয়স তিন বছর ১০ মাস। উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। লম্বায় ৮ ফুট। বুকের ব্যাড় ১২ ফুট। মুখের চওড়া ৩২ ফুট ৩ ইঞ্চি। গলার ব্যাড় ৫ ফুট ও শিং ১ ফুট। রাজাবাবুকে কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা ০১৭৮৪-৮৬৪১৬১ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে ক্রেতা চাইলে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত গরুটি তারা লালন-পালন করে দিতেও আগ্রহী।
একে//
আরও পড়ুন