রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও দু:সহ স্মৃতি তাড়া করে শ্রমিকদের
প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১০:৫৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
সাভারে ভয়াবহ রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও, দু:সহ স্মৃতি এখনও তাড়া করে ফেরে শ্রমিকদের। ঐ ঘটনার পর থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা খুব একটা না বড়লেও, নড়ে চড়ে বসে বিজিএমইএ। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে জোর দেয় মালিকপক্ষ। তারপরও ষোল আনা সন্তুষ্ট হতে পারেনি মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিদেশি ক্রেতারা।
রানা প্লাজা ধসের ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি শুধু যে দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে তা নয়, হতভম্ব করেছে গোটা বিশ্বকেই। ধসে পড়ার আগের দিনেই ধরা পড়েছিল বিশাল এক ফাটল। পরের দিন কাজে যোগ দিতে গিয়েও থেমে যায় শ্রমিকরা। শেষ রক্ষা হয়নি তারপরও। জোর করেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় মৃত্যুকুপে। এরপর শুধুই বিভীষিকা, স্মরণকালের ভয়াবহ শিল্প বিপর্যয়।
নয়তলা ভবনটি ধসে মুহূর্তেই দুই তলার সমান হয়ে যায়। ইট কংক্রিটে চাপা পড়ে হাজারো তাজা প্রাণ, যে প্রাণ নিবেদিত ছিলো দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে। অথচ, ঐদিন সহস্রাধিক প্রাণকে আর বাঁচানো গেলো না।
এখনও কোনো কোনো সন্তানহারা মায়ের ঘুমে বারবার দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসেন নিখোঁজ মেয়েটি।
ঐদিনের দুর্বিসহ স্মৃতি থেকে জীবনকে আলাদা করার আসলে আর সুযোগ নেই। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, আহতদের আরও পরিকল্পিত চিকিৎসা দরকার।
রানা প্লাজা ধসে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নীতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক বিদেশি ক্রেতাই অসন্তুষ্ট হন পোশাক মালিকদের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা হারায় বাংলাদেশ। তাইতো হারানো ইমেজ ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যায় বিজিএমইএ।
রানা প্লাজা ধসের পর, দেশের সব শিল্প-কারখানার শ্রমিকের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মালিকপক্ষসহ সরকারের নানান উদ্যোগে সেই ট্রমা থেকে তারা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু, এমন অনাকাঙ্খিত বিপর্যয় যাতে আর না আসে শ্রমিকের নিরন্তর কষ্টের জীবনে, তা-ই এই সময়ে তাদের একমাত্র চাওয়া।
আরও পড়ুন