রাবির লতিফ হলে ফাটল, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ২২:০৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাদ ও পিলারে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ছাদের আস্তর। এছাড়া হলের সিঁড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। ছাদের সুড়কি খসে পড়ে একজন কর্মকর্তা আহতের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রায় ২৬ বছর আগে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল হল পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের পরামর্শ দেয়। হল সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েক দফা বিক্ষোভ করলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। আশ্বাসে সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের দাবি আদায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছেন-‘দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক দূর করা হবে।’
জানা যায়, ১৯৬৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাড়া এলাকায় নবাব আব্দুল লতিফ হল প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনতলা বিশিষ্ট হলটি সবক’টি কক্ষই দুই ও এক আসন বিশিষ্ট।বর্তমানে হলে ৩২৫জন শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
হলের সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে ছাত্রশিবির ও ছাত্রমৈত্রীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে হলটিতে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে হলের বিভিন্ন কক্ষ, পিলার এবং দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় হলটি বসবাসের যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ে বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল আনা হয়। তারা হল কর্তৃপক্ষকে জানায়, হলটির ভবনের শক্তিক্ষমতা ৩৮-৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৩৬২ ও ৩৬৪ নম্বর কক্ষ দু’টির শক্তিক্ষমতা ১৫ শতাংশে নেমে আসায় তখন থেকে কক্ষগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।পুরো ভবনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য হল প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দেয় বুয়েটের পরিদর্শক দল।
হলের বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, তারা বেশ কয়েকবার হল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভবন সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের আগেও সাবেক শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার এমন দাবি জানিয়েছে। তবে কোনো সাড়া মেলেনি। দ্রুত হলটি সংস্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিপুল কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত)সিরাজুম মুনীর বলেন, আমরা লতিফ হল সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে বাজেট চেয়ে আবেদন করেছি। তবে বাজেট অনুমোদন হয়নি। ফলে সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসন বাজেট অনুমোদন দিলে কাজ শুরু করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ঝুঁকিমুক্ত হয়ে সেখানে বসবাস এবং পড়ালেখা করতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কেআই/ এসএইচ/
আরও পড়ুন