ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রাসায়নিক অস্ত্রে নিজ ভাইকে হত্যা করে কিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯, ৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩০, ৭ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তাঁর সৎ ভাইকে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দলে একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখতে ও শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না রাখতে নিজের সৎ ভাইকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন কিম। তবে হত্যাকাণ্ডে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন না, এমনকি নিজ দেশেও তাকে হত্যা করা হয়নি। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার একটি বিমানবন্দরে দুই নারী কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং নামকে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে হত্যা করে। ওই সময় দুই নারী তার মুখে নার্ভ গ্যাসমিশ্রিত একটি রুমাল চেপে ধরেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ওই দুই নারীকে আটক করে মালয়েশিয়ার পুলিশ।

এদিকে হত্যার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ওই দুই তরুণীর বিচার চলছে। এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতদিন ওই অবরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসলেও, এ ঘটনার পর নতুন করে অবরোধ আরোপের বিষয়টি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সৎ ছোটভাই কিম জং-আনের কাছে নেতৃত্ব চলে যাবার পর পরিবার থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিলেন কিম জং-নাম। তার বেশিরভাগ সময় কেটেছে ম্যাকাও, মেইনল্যান্ড চায়না, সিঙ্গাপুরে। আর কিম জং উনকে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হতো। শুধু তাই নয়, কিম জং উনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার সরব হয়েছেন তিনি। একটি বইয়ে তাকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, নাম মনে করেন, তার ছোট ভাইয়ের (উনের) নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা তার ভাইয়ের নেই।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় এ তথ্য দিলো, যখন উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে। উত্তর কোরিয়া জানায়, কোরীয় উপদ্বীপে সব ধরণের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যপারে তারা আশাবাদী। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, সব ধরণের ক্ষেপনাস্ত্র উৎপাদনসহ রাসায়নিক ও পারমাণবিক অস্ত্র থেকে নিজেদের প্রত্যাহারেরও ঘোষণা দিয়েছে তারা।


এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি