রাস্তার পাশে শরবতের নামে কি খাচ্ছেন?
প্রকাশিত : ১২:৩৬, ২ মে ২০২৪ | আপডেট: ১৪:৩২, ২ মে ২০২৪
রোদে পুড়ছে পদ্মা পাড়ের জনপদ রাজশাহী। ঠাঠা সূর্য মাথার উপর ঢালছে আগুন তাপ। অস্থির করে তুলেছে প্রাণিকূলকে। এরমধ্যে জীবিকার তাগিদে যারা বের হচ্ছেন একটু প্রশান্তি পেতে পান করছেন রাস্তার পাশে বানানো হরেক নামের শরবত। আর এসব শরবতে ব্যবহার করা হচ্ছে মাছের জন্য তৈরি বরফ। যা প্রাণকে সাময়িক প্রশান্তি দিলেও বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
অব্যাহত অতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজশাহী নগরে রাস্তার পাশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে শরবতের দোকান। ফুটপাতের এসব শরবতে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছের জন্য তৈরি বরফ।
শরবতের নামে কেমিক্যাল মিশ্রিত এসব রঙিন পানীয়তে মেশানো বরফ কোথা থেকে আসছে তা জানে না ভোক্তারা। ফলে ঠাণ্ডার পরশ পেয়ে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অজান্তেই শরীরে যাচ্ছে জন্ডিস, ডায়রিয়া ও হেপাটাইটিসসহ নানা রোগের জীবাণু।
পানকারীরা জানান, না জানার কারণে আমরা খাচ্ছি, জানলে তো কেউ খাবেনা। অনেক গরম তাই শরবতটা খেলাম। খেয়ে স্বস্তি পেলাম, মন ঠাণ্ডা হলো।
শরবতের জন্য তৈরি বরফ ব্যবহারের কথা জানালেও তাদের দোকানেও তা রাখা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। শরবতের দোকানে দেখতে দিয়ে পাওয়া গেল বরফের সঙ্গে রাখা কাঁচা গরুর মাংসও।
বরফ বিক্রেতা জানান, গরম পড়েছে তাই মাংস যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য একপাশে রাখা হয়েছে। শুধু মাছের জন্য বরফ তৈরি করে না সবকিছুর জন্যই তৈরি করে।
কারখানায় গিয়েই চোখে পড়লো বাইরে নোংরা ও ময়লা জায়গায় রেখে ভাঙ্গা হচ্ছে বরফের খণ্ড। সেগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শরবত বিক্রেতারা। মাছ ও লাশ সংরক্ষণে তৈরি বরফই কম দামে শরবত বিক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কারখানা শ্রমিক।
কারখানার মালিক জানালেন, আপনি যদি নিয়ে ভালো কিংবা খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারেন। সেটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে।
এসব শরবত পানে তৃষ্ণা মিটলেও স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি বাড়ছে বলছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, “অস্বাস্থ্যকর রাস্তার পাশে বরফ অথবা আইসক্রিম বা আখের রস বিক্রি করা হচ্ছে এগুলো যদি বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি না করা হয়, হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে না করা হয় তাহলে তো জীবাণু থাকতেই পারে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।”
আর রাস্তার পাশে বিক্রি এসব শরবতের নামে কি খাচ্ছেন ক্রেতারা? তা তদারকির দাবি সচেতন মহলের।
এএইচ