ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রায়ের ৭ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ভাষা জাদুঘর [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:৫৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

উচ্চ আদালতের রায়ের পর সাত বছর পার হলেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে লাইব্রেরিসহ ভাষা জাদুঘর নির্মাণ করা হয়নি। বাস্তবায়িত হয়নি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সন্নিবেশিত করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ব্রোসিয়ার প্রকাশের নির্দেশনাও। আদালতের এই নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়াকে আদালতের প্রতি অবমাননা বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

৫২’র ঐতিহাসিক ঘটনাবলির স্মৃতি নিয়ে আবেগ ও অনুভবের অপূর্ব মিশেলে গড়া এ শহীদ মিনার। ভাষার অধিকার রক্ষার শপথ নিয়ে এ মিনার সাহসের, সংগ্রামের ও প্রেরণার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এখনো যে  কোন সংকটে জাতি মিলিত হয় এই শহীদ মিনারে।

তাই এই প্রেরণার প্রতীকের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উচ্চ আদালত ২০১০ সালে লাইব্রেরি ও ভাষা জাদুঘর প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। বার বার আদালত অবমাননার রুল জারি হলেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। এতে কেটে গেছে ৭ বছর। এই দীর্ঘ  সময়ে বাস্তবায়িত হয়নি লাইব্রেরিসহ ভাষা জাদুঘর।

এই প্রসঙ্গে ভাষা সৈনিক আহমেদ রফিক বলেন, `` নকশাতে জাদুঘর করার কথা ছিল। তবে তা না হয়ে বরং ঘটেছে উল্টোটা। সেই কালচারাল কমপ্লেক্স কবে হবে জানি না। এখনো তার কোন প্রস্তুতিও দেখি না। আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই শহীদ মিনার সংরক্ষণের উপযুক্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।`` 

ভাষা সৈনিকদের স্মরণে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা রক্ষায় জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি দায়ের করেন। এর পর শুনানি শেষে ওই বছরই আদালত ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জাদুঘর নির্মাণের জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। রায়ের সাত বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পড়েনি। 

এদিকে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ পক্ষে রিটকারি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘মিউজিয়াম করার কথা ছিল, এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও জায়গার নকশা চূড়ান্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠানো হয়েছিলো। ওখান থেকে আর কোন রিপ্লাই আসেনি।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে পাঠাগারসহ ভাষা যাদুঘর নির্মানে আদেশ বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে  তা গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। 

কেআই/ এমজে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি