রিজার্ভ চুরি: অর্থ ফেরাতে সমঝোতার উদ্যোগ
প্রকাশিত : ২২:১৬, ৪ মার্চ ২০১৯
রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে ফিলিপাইন যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান আইনজীবী (লিগ্যাল অ্যাডভাইজার) আজমালুল হোসেন কিউসি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এই আইনজীবী আরও জানান, রিজার্ভ চুরির টাকা ফিরিয়ে আনতে আমাদের আইনি লড়াই চলছে। নিউইয়র্ক ফেডারেল কোর্টে মামলা চলছে। আগামী ২ এপ্রিল মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শুনানির আগেই এই মামলার বিবাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছি। সমঝোতার মাধ্যমে সম্মানজনক সমাধানের জন্যই বসতে যাচ্ছি আলোচনায়।
আজমালুল হোসেন বলেন, ফিলিপাইনে যাওয়ার আগে আগামী ১০ মার্চ নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনার কৌশল ঠিক করা হবে। এছাড়া আগামী ১১ ও ১২ মার্চ মামলার বিবাদী ফিলিপাইনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিভাগীয় বিচারক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ইউনিটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রতিনিধি দলটি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসি’র চারটি অ্যাকাউন্টে আর বাকি ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায়। ব্যাংকটির মাধ্যমে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার জায়গা) চলে যায় বেশির ভাগ অর্থ। তবে হ্যাকারদের একটি বানান ভুলে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে ফিলিপাইনের সিনেট শুনানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ফিলিপাইনের আদালতে রিজাল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে দোষী করে তার জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন