ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রোজার ইতিবৃত্ত

প্রকাশিত : ১১:৪২, ২২ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:১২, ২২ মে ২০১৯

আরবীতে রোজাকে সিয়াম বলা হয়। যার অর্থ কোন কিছু থেকে বিরত থাকা। এককথায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানাপিনা ও  যৌন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। মহানবী (সা.) এর হিজরতের দেড় বছর পর অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরীর রমজান মাসে প্রথম রোজা ফরজ হয়। ফরজ রোজাসহ ছয় প্রকারের রোজা রয়েছে।

রোজার প্রকার :

ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মাকরূহ এবং হারাম। বছরে শুধু রমজানের রোজা ফরজ। রমজানের রোজা কোন কারণে বা অবহেলায় করা না হলে তার কাযা করাও ফরজ।

মানতের রোজা, কাফফারার রোজা ওয়াজিব। কোন নির্দিষ্ট দিনে রোজা রাখার মানত করলে সে দিনে রোজা রাখা জরুরি। দিন নির্দিষ্ট না করলে যে দিন ইচ্ছা করা যায়। বিনা কারণে বিলম্ব করা ঠিক নয়।

যে রোজা নবী করীম (সা.) করেছেন এবং করতে বলেছেন তা সুন্নত। যেমন- আশুরার রোজা, আরাফার দিনের রোজা ও আইয়াম বীযের রোজা।

ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত বাদে সব রোজা নফল। যেমন- শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা, শাবনের ১৫ তারিখের রোজা এবং জিলহজ্ব মাসের প্রথম আট রোজা।

শুধু শনি অথবা রবিবার রোজা রাখা, শুধু আশুরার দিন রোজা রাখা, স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা, মাঝে কোন দিন বাদ দিয়ে ক্রমাগত রোজা রাখা হলো মাকরূহ রোজা।

বছরে পাঁচ দিন রোজা রাখা হারাম। তাহলো- ঈদুল ফিতরের দিন, ঈদুল আযহার দিন, আইয়ামে তাশরীফ অর্থাৎ ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ তারিখে রোজা রাখা।

তথ্যসূত্র : মাওলানা মোফাজ্জল হকের রোজা, ইতিকাফ, ফিদইয়া, ফিতরা গ্রন্থ।

এএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি