রোজা রাখলে কী পানি শূন্যতা তৈরি হয়?
প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ২০ মে ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৭, ২১ মে ২০১৮
অামাদের শরীরে দৈনিক দুই থেকে তিন লিটার তরলের চাহিদা থাকে। যেহেতু অামরা এই রোজা গ্রীষ্মকালে পেয়েছি তাই অামাদের এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা উচিৎ। বিশেষ করে অামরা যারা গরমের সংস্পর্শে যাচ্ছি, বাইরে কাজ করছি অামাদের অারও বেশি সতর্ক থাকা দরকার। মানুষের স্বাভাবিক ঘাম হয়, ইউরিন হয়। এর ফলে শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত একটা বোতলে পানি রেখে তা পান করা বজায় রাখতে পারি। ঘুমের সময় বাদ দিয়ে অাধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই পানি পান করতে পারি।
ইফতার থেকে সেহরির মধ্যে যেনো অাট থেকে ১০ গ্লাস পানি করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। এছাড়া ইফতারে অামরা কিছু তরল খাবারের কথা বলি। যেমন- লাচ্ছি, ডাবের পানি, তোকমা ও লেবু দিয়ে শরবত, ইসবগুলের শরবত। এসব পানি পান করলেও শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অাবার যারা রাতের খাবার খেতে চায় না তাদের অামি পরামর্শ দিই স্যুপ তৈরি করে খেতে। সবজি ও চিকেন দিয়ে তৈরি স্যুপ অল্প সময়ে প্রস্তুত করা যায়। এসব তরল খাবারের পাশাপাশি একগ্লাস দুধ খেতে পারলে অারও ভালো। একটি সলিড খাবার অাছে যেটি পানির চাহিদা পূরণ করে। সেটি হলো খেজুর। অাল্লাহ প্রদত্ত খেজুর এমন এক নিয়ামত যদি সেহরির শেষ সময়ে একটা বা দুটা খেজুর খান তাহলে সারাদিন পানির পিপাসা লাগবে না। এই নিয়মগুলো মেনে চলে পারলে শরীরও সুস্থ থাকে, পানি শূন্যতাও রোধ করা যায়।
লেখক : তামান্না চৌধুরী, এ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউট্রিশনিষ্টস ও ডায়টিশিয়ানসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অনু লেখক: অালী অাদনান।
এসএইচ/