রোদে পাওয়া ভিটামিন ডি কমাবে পেটের চর্বি
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ২৭ জানুয়ারি ২০২০
রোদে পাওয়া ভিটামিন ডি কমাবে পেটের চর্বি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে ভিটামিন ডি খুবই উপকারি। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি জনিত সমস্যায় ভুগছে।
সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কেননা ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে হাড়ের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়া মানে ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে পড়া। আর এমনটা হওয়া মানেই আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা।
আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি যে, ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তেপোক্ত করার পশাপাশি হার্ট, ব্রেন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরের যে অতিরিক্ত চর্বি তা কমাতেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। যা আসে এই সূর্যের আলো থেকে। অর্থাৎ, পেটের চর্বিতে সরাসরি সূর্যের আলো প্রভাব ফেলে।
এখন প্রশ্ন হল- শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিভাবে পূরণ করব? এক্ষেত্রে বিভিন্ন খাদ্যের পাশাপাশি সূর্যের রোদ প্রধান নিয়ামক হিসাবে কাজ করে।
আজকাল আমাদের জীবনযাত্রা এত মাত্রায় এয়ার কন্ডিশন কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে যে, শরীরে রোদ লাগে না বললেই চলে। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার পিছনে মূল কারণ হলো সূর্যের আলোর অভাব। আসলে সূর্যালোক হল এই ভিটামিন ডি-এর সবথেকে বড় উৎস।
যদিও অতিমাত্রায় সূর্যরশ্মিতে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। তারপরও এটা ভুলে গেলে চলবে না। এ ভিটামিনের অভাবে দেহ তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে পারে না। ভারত উপমহাদেশের মানুষের দেহে ভিটামিন ডি'র যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
স্কিন অ্যালাইভ ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ ড. চিরঞ্জীব চাবরা জানান, আধুনিক যুগে সূর্যরশ্মিকে দারুণ ক্ষতিকর বলে প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রশ্মি না গ্রহণ করলেও বিপদ।
এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের কতটুকু সূর্যের আলো প্রয়োজন?
সূর্যের ইউভি-বি রশ্মি ভিটামিন ডি'র সবচেয়ে কার্যকর উৎস। এই রশ্মি দুপুরের দিকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী থাকে। কাজেই এ সময়েই ভিটামিন ডি বেশি মিলবে। এছাড়া সকাল ও বিকালের রশ্মিও বেশ কাজের। স্বাভাবিক ত্বক সপ্তাহে ৩-৪ বার ২০ মিনিট করে সূর্যরশ্মিতে থাকলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মেলে।
ফোর্টিস হসপিটাল কালিয়ানের ডার্মাটোলজিস্ট ড. রূপালি নানজাপা জানান, দেহের অন্তত ১৮ শতাংশ সূর্যতে উন্মুক্ত রাখতে হবে। আর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সূর্যরশ্মি গ্রহণ করতে পারলে সর্বাধিক উপকার মিলবে।
সপ্তাহে ৩ দিন এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে রোদ পোহানো জরুরি। তাই বলে রোদে স্থির হয় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এতে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। হাঁটাচলার মাঝেই ভিটামিন ডি সংগ্রহ করুন। ত্বকে জ্বলুনি হলে সেখানে অ্যালোভেরা বা ল্যাকটো ব্যবহার করতে পারেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস
এআই/এনএস