রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি, প্রাণ গেল ১৯ জনের
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ৩১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২১:৪৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
![নৌকাডুবিতে নিহত দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকত থেকে তোলা নৌকাডুবিতে নিহত দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকত থেকে তোলা](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2017July/2-inner20170831004959.jpg)
নৌকাডুবিতে নিহত দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকত থেকে তোলা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মধ্যে জীবন বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নৌকা ডুবে অন্তত ১৯ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই নারী ও শিশু। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মাঝেরপাড়া পয়েন্ট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান গণমাধ্যমকে জানান, নিহতরা সবাই মিয়ানমারের নাগরিক। এদের মধ্যে ১০ জন শিশু, বাকি নয় জন নারী।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নুরুল আমিন জানান, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাটি গতকাল রাতে ডুবেছে। আজ সকালে স্থানীয়রা নাফ নদীর কূলে লাশগুলো পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে এখনো পুলিশ এসে পৌঁছায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটিতে ২৫ থেকে ৩০ জন লোক ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা নাফ নদীতে ডুবে যায়। পরদিন চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী আখ্যা শুরু হয় নিধন। এর পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে নদী, সমুদ্র ও স্থলপথে বাংলাদেশে আসা শুরু করে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্ত দিয়ে কাউকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য মারা যান। অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে।
জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগতভাবে নির্মূল করতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
//এআর
আরও পড়ুন