রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন
প্রকাশিত : ১৮:৫৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থীশিবিরগুলোতে ২০১৭ সাল কয়েক লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। আধিপত্য বিস্তারসহ গোষ্ঠীগুলোর লড়াই এবং ত্রাণসহায়তা কমে আসায় সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এমন অবস্থায় ঢাকা ও নেপিডো শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে বিষয়টি অবাস্তবই রয়ে গেছে। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এই নেতৃত্ব তৈরি করতে পারেনি। আর যাও তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে বিগত সরকারের চুক্তি অকার্যকর ছিল। একটা দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুলে যেতে দেয়া যাবে না যে, রোহিঙ্গা এখনও আছে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে আর তারা তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মিয়ানমার তাদেরকে খুশি মনে মেনে নেয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো যাতে তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এ ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্থানীয়রা যাতে অবহেলিত না হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় ‘আরাকান আর্মির সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে’ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কারণ মিয়ানমারে তাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না তবে কেউ গায়ে পড়লে যাতে তার জবাব দিতে পারি তার প্রস্তুতি রাখতে হবে।
সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। বিএনপি পূর্বেই এই ইস্যুতে ঐক্যের জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বিগত সরকার তা গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, মানবিকতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান (কৃষি খাতে), দেশ অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল হলে আন্তর্জাতিক নেগোসিয়েশন করা অসম্ভব, তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতে হবে।
এমবি
আরও পড়ুন