‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে’
প্রকাশিত : ২৩:৩৪, ৪ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৫৪, ৬ অক্টোবর ২০১৭
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিতে দ্বিপক্ষীয়ভাবে যে সমাধানের প্রস্তাব বা আলোচনা করেছে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। কারণ এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় সংগঠনের অফিস কার্যালয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আমাদের ১৯৯২’সহ অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক বিশ্বের এই সময়ে ইতিহাসের কালো অধ্যায় ও মানবতা লঙ্ঘনকারী মিয়ানমার সরকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যেমে সময় নষ্ট বা তালবাহানা করার কৌশল নিতে পারে। এখানে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মিয়ানমারের নেত্রী সুচি ও তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দৃশ্যমান আন্তরিকতা দেখালেও আমাদের সতর্ক ও গভীর চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯২ সালের দেশিয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি আর বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। এখানে দ্বিপাক্ষিক সমাধানের চেয়ে আমাদের উচিত হবে, জাতিসংঘের মহাসচিবের কোনও প্রতিনিধিকে যুক্ত করে এই বিশাল সংখ্যার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী সমাধানের রাস্তা খুজে বের করা।
সংগঠনের সভাপতি আশরাফ আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন কবি, সুরকার, গীতিকার প্রাকৃতজ শামিমরুমি টিটন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ শিকদার প্রমুখ।
আরকে/টিকে
আরও পড়ুন