রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটিশ এমপিরা
প্রকাশিত : ১১:০৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তারা মনে করছেন, এখনও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধর্ষণ আর যৌন নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। তাই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি।
ব্রিটিশ কমন্স ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটি বলছে, এটা পরিষ্কার যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ধর্ষণ আর যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধের একটি অস্ত্রের মতো ব্যবহার করছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও তারা মনে করেন।
রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দেশটিতে সম্প্রতি সহিংসতা শুরু হওয়ার পর সাড়ে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর এটিকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র। যদিও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, তারা শুধুমাত্র রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেই অভিযান চালাচ্ছে, সাধারণ মানুষজনের বিরুদ্ধে নয়।
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক এই কমিটি বলছে, মিয়ানমারের কর্মকাণ্ড লাখ লাখ মানুষের জন্য মানবিক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার জন্য ওই এলাকা বারুদের একটি স্তূপ হয়ে আছে।
কমিটি বলছে, মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বা অন্য সংখ্যালঘুদের ফেরতের ব্যাপারে অতীত অভিজ্ঞতা আস্থাজনক নয়। যে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে, তারা কি স্বেচ্ছায় যাবেন, কোথায় তারা যাবে, তাদের সুরক্ষার কি হবে, এসব বিষয় এখনো পরিষ্কার নয় বলে মনে করেন ব্রিটিশ এমপিরা।
রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের জীবনযাত্রা গড়ে তুলতে পারে আর স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে, সে জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার বলে ব্রিটিশ এই কমিটি পরামর্শ দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় শিশুদের মধ্যে ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়ায় ব্রিটিশ চিকিৎসকদের একটি টিম এসেছে। এর মধ্যেই টিমটি কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গাদের মাঝে টিকা কর্মসূচীতে দুই মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।
সূত্র: বিবিসি
একে// এআর
আরও পড়ুন