লবণের অভাবে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের
প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২৬ আগস্ট ২০১৭
লবণের অভাবে চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করেছেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) নেতারা। তারা জানান, গত বছর লবণের অভাবে প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়ার গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সরকার লবন আমদানির যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি যাতে সময়মতো আসে, সে বিষয়ে সরকারের তদারকি করা উচিত বলেও জানায় বিএফএলএলএফইএ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দিলজান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার পাঁচ লাখ টন লবণ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। সেটি যাতে সময়মতো আসে, সে বিষয়ে সরকারের তদারক করা উচিত। কারণ, লবনের অভাবে চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চামড়া ছাড়ানোর ছয় ঘণ্টার মধ্যে পরিমাণমতো লবণ না দিলে চামড়ার পচন রোধ করা যাবে না। বাজারের লবনের দাম হঠাত করেই তিনগুণ বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত বছর লবণের অভাবে প্রায় ৩০ শতাংশ চামড়ার গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারা বছর এক বস্তা (৭৫ কেজি) লবণের দাম থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কোরবানি ঈদের আগে সেটি বেড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে যায়। এবারও লবণের বস্তা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে গেছে।
মহিউদ্দিন বলেন, সাভারের হেমায়েতপুর বাজার থেকে চামড়া শিল্পনগরী পর্যন্ত রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে কোরবানি ঈদের সময় কাঁচা চামড়াবাহী ট্রাক পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাঙা সড়কে একটি ট্রাক আটকে গেলে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হবে। এতে ট্রাকভর্তি চামড়া পচন ধরতে পারে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, এটির মেরামত প্রয়োজন।
শাহজালাল ট্যানারির স্বত্বাধিকারী শাহজালাল মজুমদার বলেন, হেমায়েতপুরে ইতোমধ্যে ৭০টি ট্যানারি উৎপাদন শুরু করেছে। হাজারীবাগের চেয়ে হেমায়েতপুরে তাদের সক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে। তাই রাস্তাঘাট ঠিক থাকলে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন পাওয়া গেলে বিপুল পরিমাণ চামড়া প্রক্রিয়াকরণে কোনো সমস্যা হবে না।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন