লাখো কোটি টাকা লোপাটের হোতা সালমান এফ রহমান
প্রকাশিত : ২১:৪৮, ১৪ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ২২:০৫, ১৪ আগস্ট ২০২৪
ব্যাংক-পুজিবাজারসহ প্রতিটি খাতেই দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহামান। প্রভাব খাটিয়ে এ লুটেরা কতো লুটপাট করেছে তার প্রকৃত হিসাব জানতে আলদা তদন্ত প্রয়োজন বলে মত বিশ্লেষকদের।
শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের লুটপাটের সবচেয়ে সহযোগী সালমান এফ রহমান। সম্প্রতি পালাতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া এই অলিগার্ক এই দরবেশ বাবা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
দেশের ব্যাংক-বীমা-আর্থিক খাতের অনেক সিদ্ধান্তই হতো তার ইশারায়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই আইএফআইসি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একের পর এক লুটপাট করতে থাকনে। সব নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনতা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। অগ্রণী ব্যাংকে তার একটি ঋণ ১৭ বার নবায়ন করা হয়েছে, যার নজির ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে বিরল। বিভিন্ন ব্যাংকে সব মিলিয়ে তার মোট ঋণ প্রায় লাখ কোটি টাকা।
আর শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারি ও কারসাজির কথা এলেই সবার মনের পর্দায় প্রথমেই ভেসে ওঠে সালমান এফ রহমানের নাম। ১৯৯৬ সালের পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার নাম আসে সবার আগে। সে সময়ের শাইন পুকুর সিরামিকস ও দোহা সিকিউরিটিজ কেলেঙ্কারির মামলায় তিনি আসামি, যা এখনো চলমান। ২০১০ সালের পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে গঠিত ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে আসে তার নাম।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ থেকে শুরু করে আইপিওর অনুমোদন, বন্ডের অনুমোদন, বিভিন্ন আইনের পরিবর্তন সবই হয়েছে তার অদৃশ্য হাতের ইশারায়। সুকুক, আইএফআইসি আমার বন্ড এবং বেক্সিমকো জিরো কুপন বন্ড, এই তিন বন্ড দিয়ে দৃশ্যমানভাবেই হাতিয়ে নিয়েছেন ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অদৃশ্যভাবে বাজার থেকে তার হাতিয়ে নেয়া টাকার পরিমান ৩০ হাজার কোটি টাকার কম নয় বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, “তিনি যে আইএফআইসি বন্ড বলে কিছুদিন আগে বন্ড ছেড়েছেন, ওটা নিয়েও আমি কথা বলেছি ডেইলি স্টারে কথা বলেছি, আমি তখনও বলেছি এ ধরনের একটি বন্ডকে তিনি আইএফআইসি ব্যাংক বলেন কীভাবে?”
করোনার সময় টিকা নিয়েও জালিয়াতি করেন সালমান এফ রহমান। এছাড়া ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গঠিত দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্সের তদন্তে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদেশি কর্মী নিয়োগের নামে দেশ থেকে টাকা পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ওই সময়ে সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে ৩৫০ কোটি ডলারের একটি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের সন্ধান পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে তিনি দেশ থেকে টাকা পাচার করেছেন।
এসবি/
আরও পড়ুন