ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

লামায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৫, ৭ জুন ২০২১

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় কয়েকদিনের বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানী এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে উপজেলা তথ্য অফিস। তবে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হলেও, কিছু পরিবার নিরাপদে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও বেশিরভাগই সরে যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা পৌরসভা এলাকা, লামা সদর, গজালিয়া, রূপসীপাড়া, সরই, আজিজনগর, ফাঁসিয়াখালী ও ফাইতং ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে হাজারো পরিবার। প্রবল বর্ষণে যে কোন সময় প্রাণহানীর আশঙ্কাও রয়েছে।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনুর রহমান জানান, দুই বছর আগে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুসারে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৪২৫টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। নতুন তালিকা এখনও করা হয়নি।

আরো জানা যায়, দুর্যোগকালীন সময়ে পৌরসভা এলাকায় দুইটি ও সাতটি ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়ণ কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার, আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন কোম্পানি, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন কোম্পানি জানান, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরকে মাইকিং ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের মাধ্যমে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবেন।

লামা পৌরসভার মেয়র মো: জহিরুল ইসলাম জানান, লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি আশ্রয়গ্রহিতাদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে শুকনো খাবার, খিচুড়ি ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজা রশীদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি